দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাষ্ট্রপতিকে বিরোধী দলীয় নেত্রী সাক্ষাৎ করে যে অনুরোধ রাখার পর দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল তা আবারও স্থিমিত হয়ে পড়েছে। গতকাল সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সমাপণী ভাষণে সেটি প্রায় পরিষ্কার।
দেশের মানুষ বেশ আশান্বিত হয়েছিলেন। এতোদিনে যা কিছু ঘটেছিল জনগণ তা প্রায় ভুলে গিয়ে আশান্বিত হয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির কাছে বিরোধী দলীয় নেত্রীর যাওয়ার পর। কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে যাওয়ার এক দিন না পেরুতেই সংসদে প্রধানমন্ত্রী সমাপণী ভাষণে যা বলেছেন, তাতে নতুন আশান্বিত হওয়ার মতো কিছু দেখা যাচ্ছে না। আমরা একাধিকবার লিখেছি আলোচনা মাধ্যমে সংকট সমাধান হবে, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতি কি উদ্যোগ নেন, সেটা দেখার জন্য রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট। কিন্তু গতকাল বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সমাপণী ভাষণ ও নবম সংসদের অধিবেশনের সমাপ্তির পর বিএনপি মনে করছে, সংকট সমাধানে আলোচনা বা সমঝোতার সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছে সরকার।
এমন একটা অবস্থায় বিরোধী দল মনে করছে, আন্দোলনের বিকল্প আর কোন পথ খোলা রইলো না। আগামী রোববার পর্যন্ত ১৮-দলীয় জোটের পূর্বঘোষিত কয়েকটি কর্মসূচি আছে। এরপর সোমবার থেকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আবারও ৩ বা ৪ দিনের টানা হরতাল বা অবরোধের মতো কর্ম-সূচিতে যাওয়ার কথা ভাবছে ১৮ দল। দেশ এগিয়ে যাবে আবারও এক সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকালও একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, তাঁরা কর্মসূচির মধ্যেই আছেন। আগামী দিনে আরও কঠিন ও শক্ত কর্মসূূচি দেওয়া হবে। তবে ১৮-দলীয় জোট আলোচনা বা সংলাপের মাধ্যমে সংকট সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আলোচনায় সমাধান হলে কর্মসূচির কোনো প্রয়োজন নেই বলে ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এমন মন্তব্য করেন।
অপরদিকে গতকাল জাতীয় সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। গতকাল রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সাংবাদিকদের দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা একদলীয় নির্বাচনের নীলনকশার অংশ। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, সরকার জনদাবি উপেক্ষা করে একতরফাভাবে নির্বাচন করতে চাইছে। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এমন পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে সংকট সমাধানের আর সম্ভাবনা নেই। তবুও এদেশের মানুষ আশা ছাড়তে নারাজ। এখনও সময় রয়েছে। এদেশের লক্ষ-কোটি জনগণের প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতি উদ্যোগ নিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসবেন। দেশে একটি শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শান্তি পুনপ্রতিষ্ঠা হবে।
This post was last modified on নভেম্বর ২১, ২০১৩ 1:10 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ লিভার হচ্ছে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এই লিভার থেকে ক্ষতিকর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মেটা মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সুবিধার্থে নতুন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্যাসের ধাত থাকলে সকালে খালি পেটে উষ্ণ পানিতে লেবুর রস…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ওয়েব ফিল্মে জনপ্রিয় অভিনেতা এবং উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে হামলায় প্রায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন, আবাসনের এফ ব্লকের যে অবিবাহিতরা রয়েছেন,…