দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জীবন ধারণের জন্য খাদ্য গ্রহণ করা ব্যতীত বিকল্প কিছু নেই। পুষ্টিমান ও শরীরের জন্য কতটুকু উপকারী তা না জেনেই অধিকাংশ সময়েই আমরা যেসব খাদ্য গ্রহণ করি। বিপাকের হার অর্থ্যাৎ কোন খাদ্যের শক্তিতে রুপান্তর হওয়ার হার বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
দ্রুত বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় শরীরের চর্বি করে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়। এই প্রক্রিয়ায় যে ক্যালরি পুড়ে তা খাদ্য হতে পুষ্টি সংগ্রহ করে শ্বাস, হজম প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় কাজ করে থাকে।
আসুন জেনে নিই কোন কোন খাদ্য খেলে শরীরে বিপাকের হার বেড়ে যায়ঃ
শাক – সবজিঃ শাক – সবজিতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ, ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। খনিজের ভাঙ্গন ও শোষণের সময়ে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে বিপাকের হারও বেড়ে যায় এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে। তাই মূলা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর, ফুলকপি, শসা, মৌরি, লাউ, লেটুসপাতা সহ যেকোন ধরনের শাক গ্রহণ করা আমাদের একান্ত জরুরী।
ফলঃ ফলে প্রচুর পরিমাণ খাদ্যতন্তু এবং একইসাথে প্রচুর চিনি থাকে। শরীরের বিপাকের হার বাড়ানোর জন্য কালোজাম, আপেল, জাম্বুরা, কমলালেবু, পেয়ারা, পীচ, বরই, স্ট্রবেরি, কিশমিশ সহ অন্যান্য মিষ্টি এবং তন্তুজাতীয় ফল গ্রহণ করা প্রয়োজন।
মসলাযুক্ত খাবারঃ কালো মরিচ, আদা জাতীয় ঝাল এবং মসলাযুক্ত খাবারে ক্যাপসাসিন নামক যৌগ থাকে যা ক্যালরি পুড়িয়ে বিপাকের হার বাড়িয়ে দেয়। জানা গেছে, এইধরনের মসলাযুক্ত খাবারের গ্রহণের ফলে বিপাকের হার শতকরা আট ভাগ বেড়ে যায়।
শস্যটাইপ খাবারঃ গম, যব জাতীয় শস্যদানা ও বার্লি জাতীয় খাবারগুলো প্রচুর প্রোটিন এবং আশ ধারণ করে। যেগুলো শোষণ এবং ভাঙনে প্রচুর সময় লাগে এবং এর ফলশ্রুতিতেই আমাদের বিপাকীয় প্রক্রিয়ার হার বেড়ে যায়। সুতরাং এই ধরনের খাবার গ্রহণ করে অধিক শক্তি অর্জন সম্ভব।
আদা ও রসুনঃ আদা এবং রসুন শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে শরীরের চর্বি পুড়ে যা বিপাকীয় প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়, এই জাতীয় খাবার মূত্রবর্ধকও বটে।
ভিনেগারঃ ভিনেগারে যে অ্যাসিড থাকে তা স্টার্চ হজমের মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং দেহের ইনসুলিনের মাত্রা বজায় রাখে। রক্তে শর্করার পরিমাণ ত্রিশ শতাংশ কমিয়ে বিপাকের হার বৃদ্ধি করে এবং বিপাকীয় রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করে।
ফ্যাটি অ্যাসিডঃ ওমেগা – ৩ নামক ফ্যাটি অ্যাসিড চর্বি পুড়িয়ে বিপাকের হার বৃদ্ধি করে। ওমেগা – ৩ ফ্যাটি এসিড যেসব খাদ্যে পাওয়া যায় তা হচ্ছে টুনা মাছ, স্যালন মাছ, সামুদ্রিক পোনা মাছ।
তথ্যসূত্রঃ জেনেরিকভায়াগ্রাওয়ার্ল্ড
This post was last modified on জুলাই ১০, ২০২৪ 12:12 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…