দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ বিশ্বের প্রভাবশালী পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমস তাদের সম্পাদকীয়তে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে প্রতিবেদন করেছে এবং সেখানে তারা জানিয়েছে সংকট উত্তরণ করা না গেলে বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে!
নিউইয়র্ক টাইমস জানায় সম্প্রতি বিরোধীদল টানা ৬ দিন হরতাল করে এখানে সরকার বিরোধীদের নির্দয় ভাবে দমন করে ফলে নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া দেশের প্রধান বিরোধীদলের বেশ কিছু শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যায্য ভাবে তাদের জেল এবং রিমান্ডে নেয়া হয়েছে, এবং দেশের অনেক মানবাধিকার কর্মীকেও শেখ হাসিনা সরকার গ্রেপ্তার করে রেখেছে।
নিউইয়র্ক টাইমস বলে আজকের এই রাজনিতিক সংকটের কারণে দায়ী বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনৈতিক ভাবে তিনি সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন এবং বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করার প্রক্রিয়া সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছেন।[১]* এই প্রক্রিয়া মূলত বিরোধীদলের প্রধান খালেদা জিয়ার নিকট গ্রহণ যোগ্য নয়।
নিউইয়র্ক টাইমসের ঐ সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয় বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রধান চাইছেন যে করেই হোক আসছে জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ী হতে এবং ক্ষমতা ধরে রাখতে, এক্ষেত্রে তারা বিরোধীদলকে বিভিন্ন ভাবে দমন পীড়ন করে যাচ্ছেন।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের সবার শেষ অংশে তারা যুদ্ধ অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত দ্বারা নিষিদ্ধ সংঘঠন বাংলাদেশ জামাতে ইসলামের বিষয়ে বলে হাসিনা সরকার বিরোধীদলের মিত্র জামাতে ইসলামের নির্বাচনের নিবন্ধন বাতিল করেছে ফলে আসছে নির্বাচনে জামাত অংশ নিতে পারবেনা।
নিউইয়র্ক টাইমস ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মহান মুক্তি যুদ্ধের সময়ে গণহত্যা, লুট, ধর্ষণের দায়ে চলমান যুদ্ধ অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেও দাবি করেন।[২]* নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইতোমধ্যে প্রদান করা রায় সমূহ মিথ্যা ও বানোয়াট যুদ্ধ অপরাধের নামে এসব অভিযোগ বিরোধীদলের বেশ কিছু নেতাকে লক্ষ্য বস্তু বানাতেই তৈরি করা হয়েছে এবং তাদের মৃত্যুদন্ড প্রদান করাও যথেষ্ট প্রশ্নবিদ্ধ।
সব শেষে নিউইয়র্ক টাইমস তাদের পর্যবেক্ষণে জানায় শেখ হাসিনা সরকার যদি বিরোধী দল এবং মানবাধিকার কর্মীদের এভাবে গ্রেপ্তার নিপীড়ন চালায় এবং এক তরফা নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। সুতরাং শেখ হাসিনা সরকারের উচিৎ বাংলাদেশের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনা এবং দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।
[১] [বাংলাদেশের সংবিধান বাংলাদেশের জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত ২/৩ প্রতিনিধি দের ভোটে সংবিধান পরিবর্তন করার পূর্ণ ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের প্রধান করেছে, এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সেই পরিমাণ সংসদ সদস্য রয়েছে। ]
[২] [আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইবুনাল) আইন ১৯৭৩ হল ১৯৭৩ সালে পাশ হওয়া একটি আইন যার অধীনে বাংলাদেশের গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ আন্তর্জাতিক আইনের অন্তর্ভূক্ত সকল সশস্ত্রবাহিনী, প্রতিরক্ষা ও এর সহায়ক কোন বাহিনীর সদস্যকে আটক ও ফৌজদারি আইনের অধীনে দণ্ডদান করতে পারে।]
This post was last modified on নভেম্বর ২৪, ২০১৩ 12:49 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
View Comments
টিকফা চুক্তি হলেই সব দোষ ভেনিশ হয়ে যাবে Don't worry !