দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ ডাক্তার এবং রোগীর সম্পর্কের রসায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কোন রোগী যদি ডাক্তারের সঙ্গে তার রোগ, রোগের লক্ষণ বিষয়ে সুস্পষ্ট ভাবে কথা না বলেন তাহলে ডাক্তারের পক্ষে ভালো চিকিৎসা দেওয়া অসম্ভব ব্যাপার। বিশেষজ্ঞরা বলেন, নিজের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হলে কোন ডাক্তারের ভিজিট থেকে সর্বোচ্চ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা পাওয়া সম্ভব।
Quinnipiac University School of Medicine এর নির্বাহী ডিন ডঃ অ্যান্থনি আর্দোলিনো জানিয়েছেন – প্রাথমিক সেবার উদ্দ্যোগ অসুস্থ রোগীকে সুস্থতা এবং রোগ প্রতিরোধ প্রদান করে তাকে সুস্থ করে তূলে। রোগী এবং চিকিৎসকের সম্পর্ক পেশাদারমূলক না হয়ে সহযোগীমূলক হওয়া উচিত এবং রোগীর উচিত সবচেয়ে বেশি সহযোগিতামূলক ভুমিকা পালন করা যা যে কোন চিকিৎসাসেবা সফল হওয়ায় বেশি কার্যকর – এইভাবেই ব্যাখা দিয়েছেন তিনি।
সঠিক যোগাযোগ ও প্রস্তুতি নেওয়া ডাক্তার ও রোগীর সম্পর্কের মূল উপাদান। কোন ডাক্তারের কাছ থেকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা পেতে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া উচিত তা জেনে যাওয়া যাক।
- ডাক্তার ভিজিট করার আগে সময় নেওয়া উচিত। রোগাক্রান্ত হয়ে ভেষজ চিকিৎসা বা অন্য কোন ওষুধ খেলে সেসবের তালিকা তৈরি করুন যাতে ডাক্তারের কাছে গেলে এইসব তথ্য জানানো সম্ভব হয়। এর ফলে ডাক্তার প্রয়োজন মনে করলে ভিন্ন ওষুধ সম্মিলিত প্রেস্ক্রিপসন প্রদান করতে পারেন।
- ডাক্তারকে কি কি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন তার তালিকা তৈরি করুন। ধরুন, আপনি ডায়াবেটিশ, উচ্চরক্তচাপ, কোলন ক্যান্সার বা অন্য রোগ সম্পর্ক জানতে ইচ্ছুক তাহলে সেসব বিষয়ক প্রশ্নের তালিকা তৈরি করুন।
- বংশগত রোগ যেমন ডায়াবেটিশ, উচ্চরক্তচাপ, স্ট্রোক, হৃদরোগ – এসবে আক্রান্ত ফ্যামিলি সদস্যদের রোগ ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা রাখুন। বংশগত রোগের ব্যাপারে ডাক্তারকে জানানো চিকিৎসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।
- প্রথম বারের পর দ্বিতীয় বার যখন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে যাবেন তখন অবশ্যই প্রত্যেকের উচিত এর মধ্যে শারিরীক যে কোন পরিবর্তন সম্পর্কে সমস্য ধারণা থাকা এবং ডাক্তারকে তা জানানো। ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, রোগ থেকে সামান্য সুস্থতা লাভ অথবা অন্য কোন সমস্যা যেমনঃ চাকরী হারানো কিংবা সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাওয়া – যেকোন ধরনের পরিবর্তনেই মানুষের শারিরীক অসুস্থতা তৈরি হতে পারে। সুতরাং ডাক্তারের কাছে রোগীর যে কোন ধরনের তথ্য জানা খুব প্রয়োজনীয়।
- ডাক্তারের সাথে ভিজিটের আগে সময় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করা উচিত আসলে ডাক্তারের সাথে কোন কোন সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করবেন।
- ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার সময় রোগীর উচিত তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে সৎ থাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন না রাখা। মদ সেবন, ধুমপান করা, খাদ্য কিংবা ব্যায়াম গ্রহণ এইসব বিষয়ক তথ্য প্রদানে রোগীর ইতস্থত হওয়া উচিত নয়। কারণ সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা পেতে ডাক্তারের এইসব তথ্য জানা থাকা দরকার।
তথ্যসূত্রঃ নিউজম্যাক্সহেলথ