দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌরজগতের বাইরে, মহাশূণ্যের বিশাল সীমানা ছাপিয়ে গ্রহ নক্ষত্রের সংখ্যা অগণিত। অনুসন্ধানী জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের টেলিস্কোপে ধরা পরেছে সৌরজগতের বাইরে, দূর দূরান্তে ছায়াপথে ছড়িয়ে থাকা অনেক গ্রহ। এরকম কয়েকটি গ্রহ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
আমাদের সৌরজগতের বাইরে খুঁজে পাওয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট গ্রহ। সৌরজগতের বাইরে সবচেয়ে ছোট পাথুরে গ্রহ এই বিষয়ে বিজ্ঞানীরা প্রশ্নাতীত ভাবে একমত। ৮ বিলিয়ন বছরের পুরনো একটি তারা কে কেন্দ্র করে এটি নিজস্ব কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান। কত দূরে এটি অবস্থিত জানলে পাঠক ভিড়মি খেতে পারেন! ৫৬০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত Kepler-10b পৃথিবী থেকে কিছুটা বড়। উল্লেখ্য, আলো ১ বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে সেই দূরত্বকে এক আলোক বর্ষ বলা হয়।
TrES-4 এটিকে বলা হচ্ছে অদ্ভুত বড় গ্রহ। এর আকৃতি এতটাই বড় যে বিজ্ঞানীরা এটার অস্তিত্ব স্বীকার করতে চান না। TrES-4 নামে একটি গ্রহ তাত্ত্বিকভাবে থাকলেও অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী এর সন্দেহজনক আকৃতির জন্য স্বীকার করতে চান না। গ্রহটি ১৪০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
CoRoT-7b গ্রহটি জ্যেতির্বিজ্ঞানীরা সুপার প্লানেট বা সুপার গ্রহ অভিধা দিয়ে থাকেন। ৪৮০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত একটি তারাকে কেন্দ্র করে গ্রহটি ঘুরপাক খাচ্ছে। পৃথিবীর তুলনায় ৫ গুণ বেশি ভরের এই গ্রহটি পরিধিও পৃথিবী থেকে দ্বিগুণ।
বিদঘুটে নামধারী এই গ্রহটিকে বলা হয় শীতলতম গ্রহ। এটি অনুমান করা হয় প্রায় ৩৩০০ আলোক বর্ষ দূরে এটির অবস্থান। দূরত্বটি কমবেশি হতে পারে। মানুষের নাগালের দৃষ্টি সীমার মধ্যে এটি সবচেয়ে শীতল গ্রহ। গ্রহটি পৃথিবীর ভরের ৫.৫ গুণ বেশি ভারী। গ্রহটি যে তারাটিকে প্রদক্ষিণরত সেটি ২৮০০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত।
শীতল গ্রহের পর এটি ঠিক তার বিপরীত। WASP-12b গ্রহটি সবচেয়ে উষ্ণতম গ্রহ। এর পৃষ্ঠভাগের তাপমাত্র ৪০০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ২২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি যে তারাটিকে প্রদক্ষিণরত তার খুব নিকটে অবস্থিত। আমাদের সৌরজগতের বৃহস্পতির ভর থেকে এটি ১.৫ গুণ বেশি ভরের। পৃথিবী থেকে ৮৭০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত।
২০০৯ সালে এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়। আমাদের পৃথিবী থেকে এটি আকারে বড়। মাত্র ৪০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত একটি তারাকে প্রদক্ষিণ করছে এটি। গ্রহটি ২.৫ গুণ বড় এবং ৬.৫ গুণ ভারী আমাদের পৃথিবী থেকে।
51 Pegasi B কে সৌরজগতের বাইরে আবিষ্কার হওয়া প্রথম গ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটিও খুব নিকটে ৫০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত।
HAT-P-1 গ্রহটি বৃহস্পতির ভরের অর্ধেক। কিন্তু ২৪ শতাংশ প্রশস্থ বলে তাত্ত্বিকভাবে ধরে নেয়া হয়। ৪৫০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত একটি তারাকে প্রদক্ষিণ করছে এটি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটিকে উজ্জলতম গ্রহ বলেও অভিধা দিয়ে থাকেন।
HAT-P-11b গ্রহটি উষ্ণ এবং বিরাট আকৃতির একটি গ্রহ। এটি HATnet আবিষ্কার করে। এর অক্ষপথ কেন্দ্রীয় তারার খুব নিকটবর্তী। পৃথিবীর আকার থেকে ৪.৭ গুণ বেশি বড়।
XO-3b গ্রহটি ২০০৭ সালে আবিষ্কার করা হয়। বৃহস্পতি থেকে ১১.৭৯ গুণ ভারী গ্রহ। গ্রহটির কক্ষপথ অন্যান্য গ্রহগুলোর কক্ষপথের ন্যায় নয় বলে, এর কক্ষপথকে বাজে কক্ষপথ বলা হয়।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, স্পেস
This post was last modified on ডিসেম্বর ১৪, ২০১৩ 4:21 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের মধ্যে রয়েছে এমন মিউজিয়াম যা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২ পৌষ ১৪৩২…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমলকি একটি অত্যন্ত পরিচিত এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভাষাগত ব্যবধান কমাতে জনপ্রিয় যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এবার নতুন একটি বিল্ট–ইন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে আদিত্য ধর পরিচালিত সিনেমা ‘ধুরন্ধর’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের বীরত্বগাথার এক…