দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উত্তরমেরুর বরফ আচ্ছাদিত অঞ্চল – জন মানুষের কোন চিহ্ন যেখানে নেই। সেরকম একটি অঞ্চল ওয়ার্ড হান্ট আইল্যান্ডে একটি বোতলে আবিষ্কৃত হলো ৫৪ বছরের পুরাতন একজন মার্কিন ভুতত্ত্ববিদের চিঠি।
সম্প্রতি কানাডিয়ান জীবতত্ত্ববিদ ওয়ারউইক ভিনসেন্ট চিঠিটি আবিষ্কার করেন। কানাডার নিকটস্থ ওয়ার্ড হান্ট আইল্যান্ড মানুষের বসতি থেকে প্রায় ৫০০ মাইল দূরে অবস্থিত এবং জায়গাটির তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
চিঠির প্রথম লাইন হচ্ছে ‘TO WHOM IT MAY CONCERN”। চিঠিটি লিখেছিলেন পল ওয়াকার নামের একজন গবেষক। তিনি চিঠিতে একটি হিমবাহের কথা উল্লেখ করেন যেটি তিনি তৈরি করেছিলেন, এর পাশেই আরেকটি হিমবাহ এর কথা উল্লেখ করেন। দুইটি হিমবাহের মধ্যবর্তী দূরত্ব ছিলো ৪ ফুট। তিনি চিঠিতে লিখেন যে চিঠিটা পাবেন, তিনি যেন এটি আবার মেপে সে তথ্য তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া ঐ অঞ্চলের বরফস্তুপ ক্রমবর্ধিত কিংবা অপসৃত হয়েছে কিনা সে তথ্য জানাতেও চিঠিতে উল্লেখ করেন।
চিঠিটি লেখা হয়েছিলো ১০ জুলাই, ১৯৫৯ সালে। চিঠির নিচে পল ওয়াকারের ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে।
মজার ব্যাপার হলো – সে হিমবাহ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্ব পল ওয়াকার মাপতে উল্লেখ করেছিলেন চিঠিতে, সেখানকার দূরত্ব ছিল ৩২৯ ফুট যা ৫৪ বছরে বৃদ্ধি পয়েছে ৪ ফুট এবং এখন ৩৩৩ ফুট। অপরদিকে এই অঞ্চলে হিমবাহ গলে যাওয়ার তথ্যও আবিষ্কৃত হয়েছে। ভিনসেন্ট জানায় – গত বছরে হিমবাহ গলে যাওয়ার মাত্রা ভয়াবহ।
অপরদিকে ভিনসেন্ট চিঠিটির ছবি তুলে পুনরায় বোতলটি পূর্বের জায়গায় রেখে এসেছেন এবং ভবিষ্যৎ কোন আবিষ্কারকের জন্য পলওয়াকের মত ঐরকম আরেকটি নোটও রেখে এসেছেন তিনি।
এদিকে চিঠিটি আবিষ্কারের পর ওয়ারউইক ভিনসেন্ট খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন প্রেরক পল ওয়াকার সে বছরই মারা গিয়েছিলেন। পল ওয়াকার স্ট্রোক আক্রান্ত হন এবং প্যারালাইজড হয়ে যান। তাকে এক পাইলট উদ্ধার করেন, সেই বছরের নভেম্বর মাসেই তার বাবা মার বাড়িতে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
তথ্যসূত্রঃ পপসচি