দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য একটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করা অনেক আনন্দের। জীবনের যাবতীয় অবসাদ – ক্লান্তি দূর করার জন্য ভ্রমণের বিকল্প নেই। ভ্রমণের সময় বহন করা ভারী লাগেজ এবং ব্যাগ বহন সংক্রান্ত ঝামেলা এক্ষেত্রে এক ধরনের বিপদ বলা যায়। একজন অর্থোপেডিক সার্জন জানিয়েছেন ভ্রমণের সময় ভারী লাগেজ বহনের ফলে ঘাড়, কোমর, পিঠে ব্যথা হতে পারে। সেক্ষেত্রে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া আবশ্যক তা জেনে নেওয়া যাক।
American Academy of Orthopaedic Surgeons এর মুখপাত্র Dr. Warner Pinchback এর মতে, ছুটির সময়ের যে কোন ভ্রমণ ব্যথামুক্ত রাখতে লাগেজ নির্বাচন, প্যাকিং, বহন, উত্তোলন কিভাবে করা উচিত তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেকেই সিদ্ধন্ত নিয়েছেন হয়ত ছুটির দিনে ঘুরতে যাওয়ার, এবার লাগেজ সংক্রান্ত প্রস্তুতিটাও নিয়ে নিন:
- লাগেজ কেনার সময় অবশ্যই চাকা এবং হাতলওয়ালা শক্ত এবং হালকা লাগেজ কিনুন।
- সবসময় এই ব্যাপারটা মাথায় রাখুন লাগেজে অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়ে ভরে রাখবেন না। দরকার হলে একাধিক লাগেজ কিংবা ব্যাগে জিনিসপত্র ভরুন। এটাও খেয়াল রাখা উচিত অনেক এয়ারলাইন্সে অতিরিক্ত ওজন এবং আকৃতির লাগেজ বহনে বাধা নিষেধ আছে।
- লাগেজ উত্তলনের সময় অবশ্যই হাঁটু বাঁকা করে উত্তলন করুন। পায়ের মাসলের উপর চাপ প্রয়োগ করে লাগেজ উত্তলন করা উচিত, কোনভাবেই কোমর বাঁকা করা উচিত নয়।
- লাগেজ রাখার কুঠুরির মধ্যে এটি প্রবেশের সময় প্রথমে লাগেজটিকে সিটের উপর রাখুন। তারপর হাত দিয়ে লাগেজের এক প্রান্ত ধরে কুঠুরির মুখে রাখুন, তারপর যে প্রান্ত চাকা আছে সেই প্রান্ত কুঠুরির মধ্যে আগে প্রবেশ করুন এবং তারপর ধাক্কা দিয়ে পুরো লাগেজ স্থাপন করে ফেলুন।
- সব সময় শরীরের পিছন অংশ সোজা রাখুন। লাগেজ যত ওজনই হোক না কেন এটি বহন এবং উত্তলনের সময় পায়ের আঙ্গুল উপর পুরো ভর রাখুন এবং খেয়াল রাখুন যাতে শরীর না বাঁকে। এইভাবে শরীরের পিছন অংশকে ব্যাথা থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
- আস্তে আস্তে বহন করুন। দ্রুত বহন এবং উত্তলন ঝুকিপূর্ণ। খুব বেশি ওজন হলে অন্যের সাহায্য নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
- বেশি দূরত্বের ভ্রমণের সময় ভারী লাগেজ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
- সিড়িতে লাগেজ বহন নিজের দায়িত্বেই করুন, পিছনে ফেলে রাখবেন না।
- কাঁধের উপর চাপিয়ে লাগেজ বহন করবেন না। বেশি ভারী হলে আলাদাভাবে জিনিসপত্র কুঠুরিতে রেখে দিন। কাঁধে বহন করলে পেশীতে টান পড়তে পারে।
একটু সময় পেলেই মন আর ইটকাঠের শহরে থাকতে চায়না। সুতরাং মনের শান্তি আনতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং খেয়াল রেখে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ুন।
তথ্যসূত্রঃ নিউজসম্যাক্সহেলথ
ছবির জন্য ধন্যবাদ: Saeny.ch