দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় পতাকা হাতে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট বদ্ধ পরিকর। এই কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। ইতিমধ্যেই অনেক নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত তৃণমূলের শক্ত অবস্থান ধরে রাখা, অপরদিকে অভিযাত্রায় দলমত নির্বিশেষে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এখন বিএনপি তথা ১৮ দলীয় জোটের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। সরকারি বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ করাও এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বিএনপির নেতৃত্ব দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, যে কোন মূল্যে তাদের এই ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি সফল করতে হবেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি তাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
৫ জানুয়ারি আওয়ামীলীগ যে কোন মূল্যে নির্বাচন সফল করবে এমন মনোভাব জানার পর বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের কর্মসূচির এই পরিবর্তন আনা হয়। হরতাল-অবরোধ এখন জনগণের কাছে ‘মুড়ি-মুরকি’র মতো হয়ে গেছে। জনগণ এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে হরতাল-অবরোধে। হরতাল-অবরোধে কিভাবে অফিসে যেতে হবে, কিভাবে জরুরি কাজ সারতে হবে তা এখন সবার নখ-দর্পণে। মফস্বল শহরে হরতাল-অবরোধের প্রভাব থাকলেও রাজধানীতে কোন প্রভাব পড়ে না। যে কারণে ১৮ দলীয় জোট নতুন এই চিন্তা-ধারা মাথায় নিয়ে আসে। তাছাড়া নির্বাচনও একদম কাছে। এমন অবস্থায় লাগাতার কর্মসূচির কথা ভাবা হলেও পরবর্তীতে দলীও ও জোটের সভায় এই ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে নানা শ্রেণী-পেশার সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে এমন কথা বলা হচ্ছে বিরোধী দল থেকে। এই কর্মসূচি সফল করতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন বিরোধী নেতারা।
একটি সূত্র জানিয়েছে, ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বিরোধী নেতা খালেদা জিয়ার নির্দেশনা অনুযায়ী আগেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন বিভাগীয় ও জেলা নেতারা। ওই সূত্রটি আর জানায়, রাজধানীতে দীর্ঘ সময় অবস্থান নয়, চাপ সৃষ্টি করে সরকারের আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেওয়া এবং চূড়ান্ত আন্দোলনে বিরোধী নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার লক্ষ্য সফল করার জন্যই এসেছে ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ অভিযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা।
এদিকে ২৯ ডিসেম্বর কি হবে তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা রয়েছে। সরকার যদি স্বাভাবিকভাবে কর্মসূচি সফল করতে দেয় তাহলে কি হবে। আর যদি কর্মসূচির বিশেষ করে সমাবেশের জন্য যে অনুমতি চাওয়া হয়েছে তা যদি দেওয়া না হয়, তাহলে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে তা নিয়ে শংকা থেকেই যাচ্ছে। এখন সবকিছু পরিষ্কারভাবে দেখার জন্য ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।