দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাজশাহীতে নারী পুরুষের অসম বিয়ে করাতে উভয়কে জনসম্মুখে বাঁশের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি অসংখ্য মানুষের সামনে ঘটলেও কেউ তাঁদের রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।
ছেলেটির বয়স ২৫ এবং মেয়েটির ৩৭ বছর, তাঁরা একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করে কিন্তু এলাকাবাসি বিষয়টি ভালো চোখে দেখছেনা এবং তাঁরা বলছে এই বিয়ে অবৈধ এবং তাঁরা এক সাথে থাকতে পারবেনা। এলাকাবাসি অসম বিয়েও অবৈধ বলে দাবি করছে।
ঘটনাটি ঘটে রাজশাহীর ভাটাপাড়া এলাকায়, সেখানে এলাকাবাসি অসম বিয়ে করা ছেলে ও মেয়েকে ধরে নিয়ে আসে এবং জনসম্মুখে গলায় জুতার মালা লাগিয়ে হাটায় এবং মারধোর করে। এসময় এলাকার শিশু, বৃদ্ধ সহ সকল মানুষ বিষয়টি দেখতে থাকে নীরবে।
ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত খবরে জানা যায় ছেলেটির নাম রুবেল আলী এবং সে ডিঙ্গাডোবা এলাকার মুনসুর আলীর ছেলে। রুবেল ৩৭ বছর বয়সী নিলুফার নামের এই মহিলাকে বিয়ে করে ভালোবেসে এবং বিয়ে করে তাঁরা এক সাথে থাকা শুরু করে।
এদিকে ঐ মহিলার নাম নিলুফার, তার বিষয়ে জানা যায় তার আগের সংসারে ৩ জন সন্তান ছিল প্রায় ৪ মাস আগে স্বামী ফজলুর রহমানের সাথে নিলুফারের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। কিছুদিন আগে নিলুফার এবং রুবেল পালিয়ে বিয়ে করে এবং কিছুদিন এক সাথে থেকে রুবেল নিরুফারকে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসে কিন্তু রুবেলের বাবা এই বিয়ে মেনে নিতে নারাজ ফলে তিনি নিলুফার এবং রুবেলকে এলাকার কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর হাতে তুলে দেয় এতে কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর নির্দেশে কিছু মানুষ এক সাথে মিলে নিলুফার এবং রুবেলকে বেঁধে জুতার মালা লাগিয়ে সবার সামনে পিটাতে থাকে।
দীর্ঘ সময় রুবেল এবং নিলুফার বাঁশের সাথে জুতার মালা সহ বাঁধা ছিলেন প্রায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তাঁদের পেটানো হয়। দুপুর দুইটার দিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে নিলুফার দাবি করেন তাঁকে প্রায় ২০ জন পুরুষ নির্মম ভাবে নির্যাতন করে, সে এবং রুবেল বিয়ে করেছে জানালেও তাঁরা নির্যাতন চালিয়ে যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকু এবং রুবেলের বাবার মদতে তাঁদের উপর এমন নির্যাতন নেমে এসেছে বলেও নিলুফার জানায়।
এদিকে এলাকার কাউন্সিলর নূরুজ্জামান টুকুর সাথে এই বিষয়ে কথা বলা হলে তিনি বলেন তিনি এসব কিছুই জানেন না ঘটনার সময়ে তিনি এলাকায় ছিলেন না।