দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পেট্রোল বোমা মেরে নেতা হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এমন যুবকের সংখ্যা বাড়ছে দিনকে দিন। কিন্তু এমন খবর আমরা কখনও লিখতে চায়না।
এমন এক খবর এসেছে একটি জাতীয় দৈনিকে। ওই খবরে বলা হয়েছে, পেট্রোল বোমা মেরে নেতা হবার স্বপ্ন দেখেন অনুপম চন্দ্র রায় নামে এক ভার্সিটি পড়ুয়া যুবক!
এই অনুপম চন্দ্র রায় পিতার বড় সন্তান। বয়স ২৪। গ্রামের বাড়ি সীমান্ত জনপদ পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জের সুলতানপুরে (বদলী-পাড়া)। গ্রামের স্কুল ও এলাকার কলেজে পড়ার সময় তার কোন রাজনৈতিক পরিচয়ই ছিল না। কোন ধরনের মিছিল মিটিংয়ে কখনও দেখা যায়নি তাকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চেষ্টা করে ব্যর্থ হন অনুপম। শেষটায় বহু আশা নিয়ে কৃষক পিতা ভবেশ চন্দ্র রায় তার কৃষি জমি বিক্রি করে অনুপমকে ভর্তি করান ঢাকার বেসরকারি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভর্তি হন ল বিভাগে।
কিন্তু বিধিবাম- রাজধানী শহরে এসে কৃষক পিতার স্বপ্নকে গুড়িয়ে দিয়ে অঢেল টাকা ও নেতা হবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়েন গ্রামের সাধারণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা যুবক অনুপম। আর এ জন্য হাতে তুলে নেন মানুষ হননকারী ককটেল আর পেট্রোল বোমা। কিন্তু নেতা আর অর্থের কোনটিই জোটেনি তার। সেই পেট্রোল বোমায় পুলিশ মেরে অনুপমের এখন স্থান হয়েছে জেলখানা। হত্যার দায়ভার স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে দিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও। তবে পুলিশের কাছে বলেছেন, কাজটি তার ভুল ছিল। অনুপম এরজন্য দায়ী করেছেন নিজের অতিলোভ ও অসৎবন্ধুসঙ্গকে।
গত ২৪ ডিসেম্বর রাজধানীর বাংলামোটর মোড়ে পুলিশ ডিউটি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে পুলিশের ট্রাফিক কনস্টেবল ফেরদৌস খলিল নিহত হন। অগ্নিদগ্ধ হন কনস্টেবল ফাইজুল ইসলাম ও বাস চালক। এছাড়া ৩ জানয়ারি পরীবাগে যাত্রীবাহি বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনায় মারা যান এক নারীসহ ২ যাত্রী। এ দুটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অনুপম চন্দ্র রায় ও তার ২ সহযোগী জোবায়ের হোসেন ও রবিউল ইসলাম ওরফে নয়ন। অনুপম ও নয়ন বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে গত রবিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা বলেছেন ঢাকা কলেজের একটি ছাত্র সংগঠনের নির্দেশে সে পেট্রোল বোমা ও ককটেল নিক্ষেপের কাজ করেছে।
পুলিশের কাছে প্রদত্ত জবানবন্দি কতখানি সত্য বা কতখানি মিথ্যা সে বিষয়ে না গিয়েও বলা যায়, এইসব উঠতি বয়সের যুবকরা বারংবার আমাদের দেশের ‘অশুভ’ রাজনীতির বলি হচ্ছেন। অর্থ আর নেতা হবার বাসনা জাগিয়ে তুলে তাদের ব্যবহার করছেন এদেশের স্বার্থান্বেষী এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদরা। এটা কখনই কারো কাছেই কাম্য হতে পারে না। হিরো হওয়ার জন্য কোন এক সময় যুবকরা অবাধে হিরোইন খেতো। তখন এমন একটি শিরোনাম করে খবর প্রকাশিত হয় ‘হিরোইন খেয়ে ওরা হিরো হতে পারেনি’ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে এক্ষেত্রেও।
This post was last modified on জানুয়ারী ১৬, ২০১৪ 10:30 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি ঋতুস্রাব চলাকালীন অতিরিক্ত রক্তপাত, পেটে যন্ত্রণা, পেটফাঁপা,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানহীন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ইউটিউব। এই ধরনের ভিডিওর…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একবার চশমা চোখে উঠলেই আর রক্ষে নেই- সেটি সারাজীবনের সঙ্গী।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বছরের ১৫ নভেম্বর মাসে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় শাকিব খান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার ১৩০০ জনেরও বেশি কর্মীকে ছুটিতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে মহিলা জানিয়েছেন, তার স্বামী ১১…
View Comments
হায়রে দেশ আজ কোথায় দাড়ালো সত্যি দীর্ঘসাষ নিতে হয়*