দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তী নায়িকা, বাংলাদেশের মেয়ে সুচিত্রা সেন মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে সুচিত্রা কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি ফুসফুসে পানি আসার কারণে শ্বাসকষ্ট রোগে ভুগে হাসপাতালে ভর্তি হন সেই থেকে দিন দিন তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কা জনক ভাবে অবনতি লাভ করতে থাকে।
এদিকে বাংলাদেশের পাবনার মেয়ে সুচিত্রার শেষ ইচ্ছা মৃত্যুর পর যেন তাঁর শেষকৃত্য বাংলাদেশের মাটিতে নিজ জেলা পাবনাতে হয়। সুচিত্রার মৃত্যুর পর তার মরদেহ বাংলাদেশে আনা হচ্ছে কিনা সেই বিষয়ে এখনো কোন সূত্র নিশ্চিত করতে পারেনি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সরকার প্রধান মহানায়িকা সুচিত্রার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।
এর আগে ৮৩ বছর বয়সী নায়িকা সুচিত্রা সেনের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণে স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সম্প্রতি সুচিত্রার অবস্থা আগের থেকে উন্নতি হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারে যেকোনো সময়ে।
উল্লেখ্য, সুচিত্রা জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৯ সালে বাংলাদেশের পাবনা শহরে, এরপরে দেশ বিভাগের সময়ে ভারতে পাড়ি জমান। বিয়ে করেন কোলকাতার শিল্পপতির ছেলে দীবানাথ সেনকে। বিয়ের পর বাংলা চলচিত্রে আসেন সুচিত্রা ১৯৫২ সালে। ১৯৫২ সুচিত্রার প্রথম অভিনীত ছবি ‘শেষ কোথায়’ মুক্তি পায়।
সুচিত্রা অভিনীত ছবি সমূহ হচ্ছে, শাপমোচন, সাগরিকা, পথে হলো দেরি, দ্বীপ জেলে যাই, সবার ওপরে, সাড়ে চুয়াত্তর, সাত পাকে বাঁধা, দত্তা, গৃহদাহ, রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত ইত্যাদি। সুচিত্রা হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন সমান সমান দক্ষতায়। তার অভিনীত হিন্দি ছবি আাঁধিতে তিনি প্রশংসনীয় অভিনয় করেন।
সুচিত্রা সেন ছবির জগৎ ছেড়ে দেয়ার পর অনেকটা একা নিবৃতে জীবন কাটান দুই নাতনী এবং মেয়ে সুস্মিতা সেনের সাথে। তিনি মিডিয়ার সামনে আসেননি ছবির জগৎ ছেড়ে দেয়ার পর থেকে। এমন কি অনেক সুচিত্রা ভক্ত জানেননা তাদের প্রিয় নায়িকা বর্তমানে দেখতে কেমন হয়েছে। এটা একটা রহস্য রয়ে গেলো কোটি সুচিত্রা ভক্তের জন্য।
মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের মৃত্যুতে দি ঢাকা টাইমস পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি।