দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতের প্রধান ফসল আলু। অথচ এবার আলু ক্ষেতে লেট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এই রোগের প্রাদুর্ভাব খুব কম। রোদ পেলে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
বিবরণে প্রকাশ, টানা শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আলু ক্ষেতগুলোতে লেট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। যে কারণে কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে। তাছাড়া এই মৌসুমের আলু সারা বছর কোল্ড স্টোরেজে রেখে বিক্রি হয়। এই সিজেনে আলুর কোন সমস্যা দেখা দিলে তার প্রভাব সারা বছর পড়বে এমনটাই আশংকা বিশেষজ্ঞদের। এখন নতুন আলু ওঠার কারণে বোঝা না গেলেও অন্যসময় আলুর দাম বেড়ে যাবে।
দেশের যেসব স্থানে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলা। আলু ক্ষেতগুলোতে লেট ব্লাইট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এলাকার আলু চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অবশ্য স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, এখন কুয়াশা কাটিয়ে যদি রোদ ঠিকমতো ওঠে তাহলে এ রোগ থেকে রক্ষা পাবে আলু ক্ষেত।
ফুলবাড়ি উপজেলা কৃষি দপ্তর বলেছে, চলতি আলু চাষ মৌসুমে উপজেলার পৌর এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়নে ১ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কৃষকরা আবাদ করেছেন ১ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, এসষ্ট্রিকস, দেশি ও পাকড়ি জাতের আলুও রয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, অতিরিক্ত কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহের কারণে লেট ব্লাইট রোগ দেখা দিতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ জমিতে লেট ব্লাইট দেখা দিয়েছে তা পরিমাণে অনেক কম। যদি কম সময়ের মধ্যে কুয়াশা কমে সঠিকভাবে রোদ ওঠে তাহলে এই রোগ আর বিস্তার করতে নাও পারে। তবে কৃষি দপ্তর বিষয়গুলো নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন। বড় কোন সমস্যা যাতে না দেখা দেয় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে কৃষকদের ভেঙ্গে না পড়তে আশ্বস্ত করা হচ্ছে।