ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খোশ আমদেদ মাহে রমজান । আবারও আমরা পেয়েছি পবিত্র রমজান মাস। এই মাসটি একজন মুসলমানের জন্য বিরাট ফজিলতের মাস। রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস এই মাহে রমজান।
গতকাল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে বাংলাদেশে রমজান শুরু হয়েছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর সারাদেশের মসজিদগুলোতে তারাবিহের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মুসলিম জাহানের জন্য মহান রাব্বুল আলামিন এই মাসটিকে অতি গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে দান করেছেন। এই মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা অনেক নিয়ামত দান করেছেন। ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়া, সারাদিন সিয়াম সাধনা পালনের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভের জন্য চেষ্টা করেন প্রতিটি মুসলমান। এরপর সন্ধ্যায় সবাই বসে যান হরেক রকম ইফতারির পসরা নিয়ে। তারপর মাগরিবের আযানের সঙ্গে সঙ্গে ইফতারি করার মাধ্যমে সারাদিনের সিয়াম সাধনার পরিসমাপ্তি ঘটে।
এই মাসটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত এবং তৃতীয় অর্থাৎ শেষের দশদিন নাজাতের। মহান রাব্বুল আলামিন সকলের জন্য এই রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের ব্যবস্থা করেছেন। বলা হয়ে থাকে, হাদিসে রয়েছে এই মাসে কেও যদি ১ টাকা দান করেন তাহলে সে ৭০ টাকা দান করার সওয়াব পাবেন। অর্থাৎ এ মাসে প্রতিটি দান এবং নফল ইবাদতের জন্য ৭০ গুণ সওয়াব বেশি পাওয়া যায়।
সব রকম হিংসা বিদ্বেস, মিথ্যা পরিহার, মানুষের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার এবং দান খয়রাতের মধ্যে দিয়ে এ মাসে আমরা সকলে মহান রাব্বুল আলামিনের অপার রহমত অর্জন করতে পারবো ইনশাহআল্লাহ ।