দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাগর সৈকতের কথা মনে পড়লেই চোখে ভেসে আসে বিস্তৃত নীল আকাশ এবং ঝকঝকে বালির সমারোহ। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়ার ইম্পেরিয়াল এবং কুয়াচেল্লা ভ্যালির নিকটে অবস্থিত সেলটন সাগরের সৈকতের বালি সাধারণ বালি নয়। অতিরিক্ত লবণাক্তের কারণে মৃত হাজার হাজার মাছের হাড়গোর বালিতে মিশ্রিত হয়ে সব বালি হাড়যুক্ত বালিতে পরিণত হয়েছে – যা সাগর সৈকতকে বানিয়েছে অদ্ভুতুড়ে।
১) বালির দিকে তাকান। এটা আদতে বালি নয়, মৃত মাছের হাড়গোর। অদ্ভুত সমুদ্রের কিম্ভুতকিমাকার বৈশিষ্ট্য।
২) অগণিত মাছ মারা যাওয়ায় তাদের হাড়ের স্তুপ বালিতে মিশে গেছে এবং তৈরি করেছে হাড়ের বালু।
৩) মাছ হাড়গুলোর পরিমাণ এত বেশি যে পুরো বালিই আদতে এইসব দিয়ে ভর্তি। বেশ ভীতিকর অবস্থা।
৪) সৈকতের বালির উপর দিয়ে হেঁটে বেড়ানোর সময় সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন আছে।
৫) খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকতে হবে, তা না হলে পা কেটের যাওয়ার সম্ভাবণা শতভাগ।
সেলটন সাগর আবির্ষ্কৃত হয়েছিলো ১৯০৫ সালে। কলোরোডা নদীর একটি সেচ খাল ভেঙ্গে যাওয়ার পর এটি আবিষ্কৃত হয়। প্যাসিফিক সাগরের চেয়ে এটি শতকরা তিরিশ ভাগ বেশি লবণাক্ত। অদ্ভুত এই সাগর এবং সাগরের বালির গল্প বেশ চমকপ্রদ বটে।
তথ্যসূত্রঃ ভিরালনোভা