দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এডওয়ার্ড স্নোডেন হচ্ছেন সেই মানুষ যিনি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র সাবেক সদস্য এবং সিআইএ সহ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ কিভাবে ইন্টারনেটে নজরদারি করছে সেই তথ্য ফাঁস করে দেন। সম্প্রতি এডওয়ার্ড স্নোডেন’কে নোবেল পুরুস্কার কমিটি নোবেল শান্তি পুরুস্কারের জন্য মনোনয়ন দিয়েছেন।
এডওয়ার্ড স্নোডেন কেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী পুরুস্কার নবেলের জন্য মনোনীত হবেন এই বিষয়টি অনেকের মাঝে ধোঁয়াশার। সম্প্রতি নরওয়ের নোবেল পুরুস্কার জুরিবোর্ড শান্তিতে নোবেল পুরুস্কারের জন্য এডওয়ার্ড স্নোডেনকে মনোনীত হয়েছেন। তাকে মনোনয়নের দৌড়ে এনে দিয়েছেন জুরি বোর্ডের দুই প্রভাবশালী সদ্য।
নোবেল শান্তি পুরুস্কার কমিটির মতে সারা বিশ্বে এখন চলছে কোন না কোন ভাবে এক দেশের সাথে অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ যুদ্ধ। কোন দেশ কোন দেশের জনগণের উপর কত বেশি নজরদারি করতে পারবে সেই হিসেবেই গোয়েন্দা বিভাগের সফলতা ব্যর্থতা নির্ভর করে! এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বিশ্বরাজনীতিতে প্রভাব রাখা সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এডওয়ার্ড স্নোডেন যেহেতু মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে ফলে আমেরিকা অসুস্থ গোয়েন্দা নজরদারিতে আগের চায়ে অনেক নমনীয় হয়েছে। ফলে সারা বিশ্বে রাজনৈতিক দিক দিয়ে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এডওয়ার্ড স্নোডেন এর এই কাজের জন্য তাকে শান্তিতে নোবেল দেয়াই যায়!
নোবেল শান্তি পুরুস্কারের জন্য সারা বিশ্ব থেকে মোট ৫ জন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয় প্রতিবছর। তবে তাদের মাঝ থেকে শেষ পর্যন্ত ১ জনকেই বেছে নেয়া হবে। সেই হিসেবে এখনো বলা যাচ্ছেনা কে হতে যাচ্ছেন আগামির নোবেল শান্তি পুরুস্কারের কর্ণধার। উল্লেখ্য নানান মহলে নোবেল পুরুস্কার সমূহের মাঝে এই একটি বিভাগেই মনময়ন প্রাপ্তদের বিষয়ে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়ে থাকে। অনেকের ধারণা নোবেল শান্তি পুরুস্কার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দেয়া হয়ে থাকে।
সূত্রঃ cnet