দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের বদৌলতে আবার নতুন করে নাকাল হতে হলো আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (এনএসএ)-কে। সম্প্রতি স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া অপ্রকাশিত কিছু নথিপত্র থেকে বেরিয়ে এসেছে ‘মিস্টিক’ নামের আমেরিকার এক অভিনব গোয়েন্দা নজরদারির তথ্য।
মিস্টিক নামের এই গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে এনএসএ কেবল ব্যক্তিবিশেষের নয়, বরং পুরো একটি দেশের প্রতিটি মানুষের ফোনকলের আড়ি পাততে পারতো। শুধু তৎক্ষণাৎ আড়ি পাতাই নয়, ফোনকলগুলো রেকর্ড করে রাখার ব্যবস্থাও ছিলো তাতে। স্নোডেনের ফাঁস করা নথিপত্রগুলো থেকে এই কার্যক্রমের অস্তিত্ব খুঁজে বের করেছে আমেরিকারই জনপ্রিয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট। চলতি সপ্তাহে মিস্টিক নিয়ে লেখা দেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়।
ওয়াশিংটন পোস্টের দেয়া তথ্যমতে, ২০০৯ সাল থেকে মিস্টিক প্রজেক্টের কাজ শুরু হয়। তবে ২০১১ সালেই প্রথম এটিকে কোনো দেশের সবগুলো ফোনালাপ রেকর্ড করার কাজে লাগানো হয়। ২০১১ সালে ঠিক কোন দেশের উপর মিস্টিককে প্রয়োগ করা হয়, তা প্রকাশ করেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। মিস্টিক ওই দেশের সবগুলো ফোনালাপ রেকর্ড করে রাখতো। প্রায় ৩০ দিনের ফোনালাপ রেকর্ড করে রাখার ক্ষমতা মিস্টিকের আছে। এর মাধ্যমে কোনো রকমের অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়, এমন ব্যক্তিদের ফোনালাপ শোনারও সুযোগ থাকে এনএসএ-র। ফাঁস হওয়া নথিপত্রে দেখা গেছে, উচ্চপদস্থ একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা এর অস্বাভাবিক ক্ষমতাকে ‘টাইম মেশিন’ এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া আগের নথিগুলোতে দেখা গেছে, এনএসএ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টেলি এজেন্সিগুলোর অনুমতিক্রমে তাদের কিছু সন্দেহভাজন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চাইতো। কিন্তু মিস্টিক থেকে দেখা গেলো, কোনো রকমের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই এনএসএ শুধু ব্যক্তিবিশেষেরই নয়, বরং একটি গোটা দেশের ফোনালাপ চুরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ওয়াশিংপোস্ট, রাশিয়া টুডে