দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকে সিনেমা স্টাইলে বিপুল পরিমাণ অর্থ লুটের ঘটনার অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য এখন বেরিয়ে আসছে। জঙ্গীদের সহায়তা করার জন্যই সোনালী ব্যাংকে এই চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছে এর মূল হোতা সোহেল।
৭ দিনের রিমাণ্ডে নেওয়া দুই আসামীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসছে। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল বলেছে, তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের গাবুয়াতে। তাদের বাড়ি মুন্সী বাড়ি বলে সকলে চেনে। সেখানে আছে তার মা সুফিয়া বেগম, স্ত্রী, ১০ বছর বয়সের ছেলে ও ৭ বছর বয়সের একটি মেয়ে। যদিও স্ত্রী ছেলে-মেয়ের খোঁজ-খবর কোন দিন নিতেন না তিনি। ঢাকায়ও সোহেল একাধিক বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে সে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে ইউসুফ মুন্সী নামেই চেনে।
জানা গেছে, সোহেল নামটি আসলে জঙ্গিদেরই দেয়া। অপরাধ জগতে এই নামেই নাকি তিনি পরিচিত। গত শনিবার সোহেল ও তার ভাই ইদ্রিস মুন্সীর নেতৃত্বে সোনালী ব্যাংকের ওই টাকা চুরি করা হয়।
অপরদিকে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য রয়েছে, সোনালী ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীরও জঙ্গি কানেকশন রয়েছে। কারণ চুরি হওয়া শাখায় সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা থাকে। স্ট্রং রুম থেকে ১০/১২ গজ দূরে পুলিশের থাকার কক্ষ। এরই মধ্যে সোহেল ২৩ মাস ধরে সুড়ঙ্গ কেটেছে। অথচ কেও টের পেলো না এটি যেনো অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদে তারা হয়তো আরও গোপন অনেক তথ্য পাবেন। তবে পুলিশের এখন প্রধান টার্গেট জঙ্গী কানেশনটি নিশ্চিত করা। কোন কোন জঙ্গী গ্রুপ এরসঙ্গে জড়িত সেটি বের করা পুলিশের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। পুলিশ বলছে, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া তাদের মূল লক্ষ্য।