দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পোশাক মানুষের শুধু সাজ-সজ্জা তা নয়। এই পোশাক মানুষ আদি যুগ থেকে আব্রু হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু কতক সময় এই পোশাক অন্য এক হিসাব-নিকাশের মধ্যে ফেলে। ঠিক তেমনই ঘটনা সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী এবং বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবরের ক্ষেত্রেও।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রামে। রায় ঘোষণার উদ্দেশ্যে। বৃহস্পতিবার আদালাত তাঁদের বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় দেন। আর এই রায়ের পর জেল কোড সকলকেই মানতে হবে। আর তাই এই দুই ভিআইপি আসামীদের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। আগের দিনও চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিভিশন ওয়ার্ডের বন্দি হিসেবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তাঁদের। কিন্তু পরদিন সকালে তাঁদের কারারক্ষীরা দেখেছেন অন্য নতুন এক পোশাকে। কয়েদির পোশাক গায়ে কনডেম সেলে দেখেছেন তাঁদের।
জেলখানার উদ্বৃতি দিয়ে সংবাদ মাধ্যম বলেছে, সকালে তাঁরা সবজি দিয়ে রুটি খেয়েছেন। দুপুরে খেয়েছেন ডাল সবজি ভাত এবং রাতে খেয়েছেন সাদা ভাতের সঙ্গে ডাল, সবজি ও মাছ। জানা যায়, দৈনিক তাঁদের জন্য বরাদ্দ ৪৮ টাকা ৮২ পয়সা করে। এই বরাদ্দেই সকালের নাশতা, দুপুর ও রাতের খাবার খেতে হবে।
কয়েদির পোশাকে সাধারণ বন্দির মতোই কনডেম সেলে নতুন এই বাসিন্দারা হলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির,সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও বিএনপি নেতা, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বারব।
উল্লেখ্য, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামিদের মধ্যে ৮ জন আসামী ছিলেন ডিভিশনপ্রাপ্ত। বৃহস্পতিবার আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণার পর বিধিমোতাবেক ডিভিশন সুবিধা বাতিল হয়ে যায় তাঁদের। রাতে মৃত্যুদণ্ডাদেশের সাজা পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছার পর তাঁদের রাখা হয়েছে সাধারণ বন্দি হিসেবে নিয়ম অনুযায়ী কনডেম সেলে।