দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফোবিয়া হচ্ছে মনের ভয়, এক ধরনের আতংক রোগ। অনেকেই আছে যারা সাধারণ বিষয়কে ভয় পায় এবং সারাক্ষণ সেটা নিয়ে আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। আসুন জেনে নিই অত্যন্ত উদ্ভট কিছু ফোবিয়া সম্পর্কে।
ম্যাজোরিকো ফোবিয়াঃ রান্না করতে ভয় পাওয়া উদ্ভট ফোবিয়ার মধ্যে পড়ে। এই ফোবিয়ার নাম ম্যাজারিকো ফোবিয়া। গ্রিক শব্দ ম্যাজারিকোস থেকে এসেছে এই ফোবিয়ার নাম। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের রান্না নিয়ে অস্বস্তিতে আক্রান্ত হয়, ভাবে তার রান্না খেয়ে অন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়বে। এইধরনের বিভ্রম তাদেরকে রান্না বিষয়ে ফোবিয়াগ্রস্থ করে তুলে।
এজিরোফোবিয়াঃ রাস্তা ক্রসিং, হাইওয়ে পেরোতে ভয় পাওয়া এই ফোবিয়া আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। এই ফোবিয়া নিয়ে শহরে বাস করা খুব কঠিন কাজ। শহরের একক গলি রাস্তা কিংবা চওড়া রাস্তা পার হতেও প্রচন্ড ভয় পায় এরা।
ডাইনোফোবিয়াঃ ডিনারে পরিবারের সবাই মিলে কথোপকথন চালানো মোটামুটি সামাজিক রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কিন্তু অনেকে আছেন যারা ডিনার করতে এবং একইসাথে ডিনারের কথোপকথনকে ভয় পান, এই ধরনের আতংকে ডাইনোফোবিয়া বলা হয়। সেক্ষেত্রে তারা ডিনার এড়িয়ে চলেন – বেশ উদ্ভট আচরণই বলা যায় এই আচরণকে।
আইসোট্রোফোবিয়াঃ আয়নাতে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতেও অনেকেই ভয় পান, এই ধরনের ভয়কে বলা হয় আইসোট্রোফোবিয়া। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত লোকজন ভাবে আয়নার মাধ্যমে আধ্যাত্মিক বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে, যদিও এই ধরনের ভয় অমূলক বলা যায়। আবার একইসাথে আয়না ভেঙ্গে ফেললে সেটা দুর্ভাগ্য আনবে কিংবা আয়নার দিকে তাকালে- বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ হবে – এটা উদ্ভট চিন্তা করেই তারা আর আয়নার ধারে কাছে যায় না।
পেনথেরাফোবিয়াঃ এই ফোবিয়া মোটামুটি পরিচিত। প্রচুর মেয়ে আছে যারা শাশুড়িকে দেখে অহেতুক ভয় পেয়ে যায় – তারাই এই ধরনের ফোবিয়ায় আক্রান্ত। শাশুড়ি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ কিংবা খারাপ আচরণের আশংকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তারা।
ক্যাথিসোফোবিয়াঃ এটি সবচেয়ে বেশি উদ্ভট ধরনের ফোবিয়া। যারা ক্যাথিসোফোবিয়ায় আক্রান্ত তারা সচরাসচর বসে থাকতে আতংকবোধ করেন। সচরাচর বসতে গিয়ে দূর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হয়। শিশুদের মাঝে স্কুলের বেঞ্চে বসে থাকা নিয়ে আতংকগ্রস্থ হতে দেখা যায়।
ফোবিয়া একধরণের মানসিক রোগ এবং ফোবিয়াগ্রস্থ মানুষ অহেতুক ব্যাপার নিয়ে সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকে। এই সমস্যার ভুক্তভোগীরা বেশ ভালোরকম সমস্যার মধ্যে থাকেন। পরিচিত কেও এই ধরনের ফোবিয়ায় আক্রান্ত থাকলে তাকে উপহাস না করে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত এবং একইসাথে সবার সচেতন থাকাও জরুরি।
তথ্যসূত্রঃ ফ্যাসিনেটিংপিক্স