দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তথ্য প্রযুক্তি আইন প্রনোয়ন একটি আলোচিত ঘটনা। এই আইন সম্পর্কিত একটি অধ্যাদেশে জামিন অযোগ্য চারটি অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। চলুন জেনে নিই কি সেই অপরাধ গুলো…
জামিন অযোগ্য অপরাধ গুলো হলো, সংরক্ষিত কম্পিউটার বা ওয়েবসাইটে প্রবেশ; ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ; কম্পিউটারের বিভিন্ন অপরাধ এবং কম্পিউটার বা ওয়েবসাইট হ্যাক করা।
সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশঃ
নিয়ন্ত্রক, সরকারি অথবা ইলেক্ট্রনিক প্রজ্ঞাপন জারি করা সংরক্ষিত সিস্টেমে প্রবেশ করলে জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে বলা হয়, নিয়ন্ত্রক আর পুলিশ একই সাথে এই অপরাধের তদন্ত করতে পারবে না। এজন্য আইনের ৭৬(১) ধারা সংশোধন করা হয়েছে।
ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশঃ
যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে মিথ্যা ও অশ্লীল কিছু প্রকাশ করে যা কাউকে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ উদ্দেশ্য উদ্বুদ্ধ করতে পারে, অথবা আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার আশঙ্কা থাকে, অথবা কোন ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে, অথবা কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয় তবে এগুলো জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
কম্পিউটারের বিভিন্ন অপরাধঃ
সংশ্লিষ্ট কর্তিপক্ষের অনুমতি না নিয়ে ইলেক্ট্রনিক নথিতে থাকা তথ্য সংগ্রহ বা বিনষ্ট করা, অথবা তথ্য সংগ্রহ বা বিনষ্ট করার জন্য কম্পিউটার বা কম্পিউটার সিস্টেম বা কম্পিউটার নেটওর্য়াকে প্রবেশ করা অথবা এই কাজে অন্য কোন ব্যক্তিকে সহায়তা করা জামিন অযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে।
সিস্টেমের হ্যাকিংঃ
যদি কেউ কোনো নিজের নিয়ন্ত্রণাধীন নয় এমন কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করার মাধ্যমে ক্ষতি সাধন করলে তা হবে হ্যাকিং অপরাধ। এই অপরাধ হবে জামিন অযোগ্য।
এই অধ্যাদেশে আরো বলা হয়, তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের যেকোনো পর্যায়ে সরকার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব সাইবার ট্রাইবুনাল আদেশের মাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে নিয়ন্ত্রক বা তদকতৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে অথবা নিয়ন্ত্রক হতে পুলিশ কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করতে পারবে।