দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হোয়াইটওয়াশ থেকে নিজেদের বাঁচানোর আজ শেষ সুযোগ। তারা কি পারবে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে? বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কি করতে পারবে তা আগে থেকে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
সাকিবের তিন ম্যাচ সাসপেন্ড হওয়াটাকে অবশ্য দলের বাকিরা যেন নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন। এমনটি যে হতেই পারত, যেন হেলমেট ছাড়া বাইক চালককে আগেই সবাই সাবধান করে দিয়েছিল, কিন্তু বেপরোয়া সাকিব তা কখনও শোনেনি। তাই গত রাতে তার হোটেল ছেড়ে বেরিয়ে পড়ার খবরে কেওই অবাক হননি। বরং আজকের ম্যাচে যে কুমার সাঙ্গাকারা খেলছেন না সেটাই যেন সকলের কাছে স্বস্থি মনে হয়েছে বাংলাদেশ দলের। শুধু সাঙ্গাকারাই নন, আরও খবর রয়েছে, গতকাল দুপুরের ফ্লাইটেই কলম্বো চলে গেছেন দিলশান। বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে লাসি মালিঙ্গাকেও। এমনসব খবর শোনার পর আজও হয়তো আশা নিয়ে আবার টেলিভিশনের সামনে বসবেন সমর্থকরা। কিন্তু তাদের প্রিয় দলটি কি পারবে একাদশে পরিবর্তন এনে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে? এমন প্রশ্ন এখন সকলের।
একটি জয়ের খোঁজে গোটা বাংলাদেশ দল এখন উদগ্রীব। ঘাড়ে হালকা ব্যথা থাকলেও তামিম ইকবাল নেক বেল্ট খুলে গতকাল অনুশীলনও করেছেন। অধিনায়ক মুশফিক চাচ্ছেন আজ দলের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শ্রীলংকাকে মোকাবেলা করার জন্য। অপরদিকে যারা দুই ম্যাচে ক্যাচ ফসকেছেন তাদেরও কঠোর অনুশীলন করানো হচ্ছে, তাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে নানাভাবে। এমনকি মিরপুরে উঁচু ক্যাচ নেওয়ার লম্বা সেশনও করানো হয়েছে। বাংলাদেশ দল যখন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে, ঠিক তখন লংকানরা বিশ্রামে দিন পার করেছেন। এদিন তারা কেওই হোটেল থেকে বের হননি।
যেহেতু তাদের হারানো কিছু নেই তাই এশিয়া কাপের আগে শ্রীলংকা দল আজকের ম্যাচে তাদের সাইড বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষা করতে চাইছেন। এমন ‘দুর্বল’ দলকে পেয়েও যদি আজ নাসিররা ভুল না করেন, তাহলে হয়তো ভালো কিছু আশা করাও যেতে পারে। আজ মুশফিকরা কি পারবেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে সেই মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে? এখন শুধুই অপেক্ষার পালা।