দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ময়মনসিংহের ত্রিশালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ছিনিয়ে নেওয়ার পর আইনশৃংখলা বাহিনীর এবার টনক নড়েছে। তারা একটু নড়ে বসেছেন। তবে ভবিষ্যত কর্ম-পরিকল্পনার জন্য এটি একটি সিগন্যাল।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবিসহ অন্যান্য জঙ্গী সংগঠনের কোন অস্থিত্ব এখন বাংলাদেশে নাই এমন কথাও অনেকেই বলেছেন। বিশেষ করে পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরাও এমন কথা অনেক সময় বলেছে। আবার এমনও বলেছেন, দেশে জঙ্গীবাদের আর কোন স্থান নেই। কিন্তু বাস্তবে গতকালের ঘটনার পর তাদের সম্বিত ফিরেছে। তারা বুঝতে পেরেছেন জঙ্গীবাদ এতো সহজে নির্মূল হওয়ার নয়।
বাংলাদেশে বিগত সময়ে যেভাবে জঙ্গীদের উত্থান ঘটেছে তাতে এতো সহজে সব নির্মূল হবে সেটি ভাবা একেবারেই বোকামি। কারণ জমিতে একটা বীজ যখন বপণ করা হয়। তখন তার কিছু না কিছু শেকড় জমিনে রয়ে যায়। আর জেএমবির ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে। বড় নেতাগুলোর শাস্তি দিলেও পাতি নেতাদের অনেকেই এখনও ধরা-ছোঁয়ার বইরেই রয়ে গেছে।
তাছাড়া যখন জেএমবির আবির্ভাব ঘটেছিল, তখন ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তাদের নানা রকম অভিজ্ঞতার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। তখন নিশ্চয়ই ভবিষ্যতের কর্ম পরিকল্পনাও করা হয়েছে নিশ্চয়ই। নেতা না থাকলে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কে বা কারা সংগঠনকে সংঘবদ্ধ করবেন সে সব বিষয়ে নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা তাদের ছিল। যার প্রমাণ পাওয়া গেলো গতকালের ঘটনার পর। শোনা যাচ্ছে মিনিবাস পর্যন্ত কেনা হয়েছে এই কাজে ব্যবহারের জন্য। তাহলে অর্থ, লোকবল সব কিছুই এখনও বিদ্যমান।
আইনশৃংখলা বাহিনী হালকাভাবে নেওয়ার কারণে এতোবড় একটি জঙ্গী সংগঠের নেতাদের পরিবহনে শুধুমাত্র ৩/৪ জন পুলিশ সিকিউরিটি দিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। এটা সত্যিই একটা হাস্যকর ব্যাপার। কারণ এরকম দুর্ধর্ষ জঙ্গীদের এক জেলা হতে অন্য জেলায় নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সিকিউরিটি দেওয়ার দরকার ছিল।
তবে একটি জিনিস ভালো হয়েছে আর তা হলো, এতে আইনশৃংখলা বাহিনী বেশ সজাগ হতে সুযোগ পাবেন। ভবিষ্যতে যেনো এরকম সমস্যা আর ফেস করতে না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে সব কিছু নতুন করে চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এনে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে এই জঙ্গী নির্মূলে ফল পাওয়া যাবে।