দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যারা রাজধানীর বুকে সকাল থেকে সারাদিন চলাফেরা করেন, তাদের জন্যই আজকের এই সুখবর। সুখবরটি হচ্ছে বন্ধ করা হবে হাতের ইশারার সিগন্যাল ব্যবস্থা। পুরোপুরি ইন্টারসেকশন ট্রাফিক সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হবে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে।
হাতের ইশারায় সিগন্যাল পরিচালনা করার কারণে রাজধানীতে যানজটের সমস্যা লেগেই থাকে। কারণ কোনো একদিকে সিগন্যাল ছেড়ে দিয়ে ট্রাফিক পুলিশ দিব্যি দাঁড়িয়ে থাকেন। অপরদিকে বিশাল আকারের যানজটের সৃষ্টি হয়। অথচ ইন্টারসেকশন ট্রাফিক সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হলে সবদিকেই নিয়ম ও সময় অনুযায়ী গাড়ি পারাপার হলে এতোটা সমস্যায় পড়তে হতো না জনগণকে। সমভাবে নিয়ন্ত্রিত হতো ট্রাফিক ব্যবস্থা।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই রাজধানীতে হাতের ইশারায় গাড়ি পারাপার বন্ধ করা হবে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, এই সময়ের মধ্যে রাজধানীর ৭০টি ইন্টারসেকশন ট্রাফিক সিগন্যাল অনুযায়ী ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তখন থেকে আর ট্রাফিক পুলিশকে হাতের ইশারায় গাড়ি পারাপার করার দরকার পড়বে না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও জানান, ‘বর্তমানে প্রায় সবগুলো সিগন্যাল সচল না থাকার কারণে যানবাহনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ট্রাফিক পুলিশকে বেশির ভাগ সময় সিগন্যালগুলোতে হাতের ইশারায় গাড়ি পারাপার করতে হয়। সিগন্যালগুলো পুরোপুরি চালু হলে ট্রাফিক সিগন্যালের মাধ্যমে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীতে ৭০টি ইন্টারসেকশান ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা রয়েছে। দক্ষিণ সিটির আওতায় ৪০টি এবং বাকি ৩০টি উত্তর সিটির আওতায়। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ সিগন্যাল বাতিগুলো স্থাপনের কাজ অব্যাহত রয়েছে। এই ৭০টির মধ্যে আবার ৪০টি ইন্টারসেকশানে সোলার প্যানেল, কাউন্টডাউনসহ (সময় মাইনাস সিস্টেম) আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে বলে সংসদকে জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।