দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক বর্ণিল সাজে সাজছে ঢাকা। দেখে যেনো চেনায় দুষ্কর হয়ে পড়ছে। রাস্তা, ফুটপথ এমনকি ফুটওভার ব্রীজের চেহারা দেখে এটিকে ঢাকা বলে মনে হচ্ছে না।
রাজধানীর এসব উন্নয়ন দেখে চিরচেনা সড়কগুলো যেনো এক অচেনা মনে হচ্ছে। ধুলাবালি নেই বললেই চলে, সবদিক যেনো এক ঝকঝকে তকতকে পরিবেশ। সড়ক ডিভাইডারে বর্ণিল আলোর ঝলকানি দিচ্ছে। আবার কোন কোন রাস্তার মাঝের গাছগুলোতেও লাল-নীল-সবুজ মরিচবাতি, মনে হচ্ছে পুরো শহরটি সাজানো হয়েছে বিয়ে বাড়ির আদলে। বিভিন্ন ফোয়ারায় আলো-ছায়ার খেলার এক অপরূপ দৃশ্য। শহরের দৃষ্টিনন্দন প্রতিটি ভাস্কর্যগুলো যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। বিভিন্ন সড়কদ্বীপে দেশী-বিদেশী গাছের সমাহার। সড়কে বিদেশের মতো ফুট ওভার ব্রীজে এবার দেশের প্রথম চলন্ত সিঁড়ি লাগানো হচ্ছে।
রাজধানীর এই দৃশ্যপট বদলে দেয়ার পেছনে যে উদ্দেশ্য রয়েছে তা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আর সে জন্যই সাজানো হয়েছে এক অপরূপা শহর হিসেবে রাজধানী ঢাকাকে। ১৬ মার্চ ঢাকায় পর্দা উঠবে এই বিশ্বকাপের। আর শেষ হবে ৬ এপ্রিল। বিশ্বের ১৬টি ক্রিকেট দেশ এবারের বিশ্বকাপে অংশ নেবে। আসবেন দেশী-বিদেশী অনেক অতিথি । তখন গোটা বিশ্বের নজর থাকবে বাংলাদেশের দিকে। আবার বিদেশী অনেক নামীদামী দর্শকও খেলা দেখতে ঢাকায় আসবেন। ৮ মার্চের মধ্যে পুরো ডেকোরেশনের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আর তাই এতো আয়োজন। এতো সাজসজ্জা। রাজধানীকে সাজিয়ে বদলে ফেলার এই দায়িত্বটা নিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোর। সঙ্গে আছে সরকারি-বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠানও। সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
উল্লেখ্য, সরকারের ৯২ কোটি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নিজস্ব তহবিলের ২৩ কোটি টাকা নিয়ে মোট ১১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়েছে। ২৩ কিলোমিটার সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন; ২৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়কের ট্রাফিক সাইন, রোডমার্কিং আলোকায়ন, বিদ্যুতায়ন ও ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক উজ্জ্বল আলোয় সজ্জিত করার পরিকল্পনাসহ সৌন্দর্যবর্ধন ও ডেকোরেশন কার্যক্রম প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।