দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা ব্ল্যাক হোল। এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক হোলের কোন প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া না গেলেও, ব্ল্যাক হোল নিয়ে রয়েছে নানা মুনির নানা মত। বলা হয়ে থাকে, ব্ল্যাক হোল বা কালো গহ্বর সব কিছু গ্রাস করে নিতে পারে। এমনকি আলোক রশ্মিকে শুষে নিতে পারে ব্ল্যাক হোল। যদি তাই হয়, স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন আসে আমাদের পৃথিবীকে ব্ল্যাক হোল গিলে ফেলবে কিনা!
প্রশ্নটির উত্তর জানতে হলে ব্ল্যাক হোল কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে জানতে হবে। এখন পর্যন্ত জ্যোতির্বিদরা এর সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নি। অষ্টাদশ শতাব্দীতে প্রথম তৎকালীন মাধ্যাকর্ষণ ধারণার ভিত্তিতে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। ব্ল্যাক হোল অত্যন্ত ঘন সন্নিবিষ্ট অবস্থায় থাকে, এর ভর এত বেশি যে, এর মহাকর্ষীয় শক্তি কোন কিছুইকেই ভেতর থেকে বের হতে দেয় না। জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি অনুসারে, ব্ল্যাক হোল মহাকাশের এমন একটি বিশেষ স্থান যেখান থেকে কোন কিছু, এমনকি আলো পর্যন্ত বের হয়ে আসতে পারে না। ব্ল্যাক হোল তৈরি হয় খুবই বেশী পরিমাণ ঘনত্ব বিশিষ্ট ভর থেকে। আরেকটি মতবাদ থেকে জানা যায়, নক্ষত্র এক সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ধ্বংস প্রাপ্ত নক্ষত্র থেকে সৃষ্টি হতে পারে ব্ল্যাক হোল। প্রতিটি গ্যালাক্সিতেই ছোট বড় ব্ল্যাক হোল থাকতে পারে।
আমাদের গ্যালাক্সির নাম মিল্কি ওয়ে বা আকাশ গঙ্গা। আকাশ গঙ্গার ঠিক মাঝখানে রয়েছে সূর্য থেকে ৪ মিলিয়ন বেশি ভরের একটি ব্ল্যাক হোল। ১৬ বছর ধরে আশে-পাশের তারামন্ডলীর গতি-বিধি পর্যবেক্ষণ করে গত ২০০৮ সালে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা Sagittarius A-star নামের ব্ল্যাক হোলটি শনাক্ত করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ব্ল্যাক হোলটি কোন কিছু গলাধঃকরণ করছে না। ব্ল্যাক হোল এর ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত ধারণাটি হচ্ছে ব্লাক হোল সব কিছু গ্রাস করে নেয়।
আলো শুষে নেয় বলে ব্ল্যাক হোল দেখা সম্ভব নয়। আলো শুষে নিতে পারে বলে হয়তো ব্ল্যাক হোল সব কিছু গলাধঃকরণ করতে পারে এই ধারণা সবারই হতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ব্ল্যাক হোলেরও নিজস্ব ভর রয়েছে। অধিকাংশ গ্যালাক্সিই ব্ল্যাক হোলকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান থাকতে পারে। তাই বলে, ব্ল্যাক হোল গ্যালাক্সিতে থাকা নক্ষত্র, গ্রহসমূহ গিলে ফেলে না। তাই এটা বলা যায়, আকাশ গঙ্গার মাঝখানে বৃহৎ ব্ল্যাক হোল যদি থেকেও থাকে, তা আমাদের পৃথিবীকে কখনোই গিলে ফেলবে না। বরং সূর্য এবং অন্যান্য গ্রহগুলোর সাথে সমান দূরত্ব রেখে ঘূর্ণায়মান থাকবে। আবার ব্ল্যাক হোল সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় বৃহদায়তনের ভর সূর্যের নেই বলে সূর্যও কখনো ব্ল্যাক হোল এ পরিণত হবেনা।
সম্প্রতি স্টিফেন হকিং মহাবিশ্বে ব্ল্যাক হোল বলে কিছু নেই বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে পৃথিবীকে ব্ল্যাক হোল গিলে ফেলবে কিনা এই প্রশ্নটিই এখন বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে অবান্তর।
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল, উইকিপিডিয়া
This post was last modified on মার্চ ১৩, ২০১৪ 1:25 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রণ বিষয়ে চিকিৎসকরা মনে করেন, অ্যাডাল্ট অ্যাকনির নেপথ্যে মূল কারণ…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সেরা প্রযুক্তি আও উদ্ভাবনের জোরে বিনোদনের সংজ্ঞাকে প্রতিনিয়ত পাল্টে দিচ্ছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভিটামিন বি১২ শরীরের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ পরিচালনা করে। তাই এই…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ (সোমবার) আজিমপুর কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গত ৩ দিনে…