ঈশ্বরদী থেকে ডা: আনোয়ারুল ইসলাম ॥ যোগাযোগ ও রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল ১ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন পরিদর্শন করে এক মাসের মধ্যে রেলের বেদখল জায়গা পুনর্দখল করার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় যাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবির অভিযোগ শুনে মহানন্দা এক্সপ্রেসের এক এফআইকে চড় মেরেছেন রেলমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
জানা গেছে, এর আগে মন্ত্রী পাকশীতে রেলের বিভাগীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেন সকাল ৯টা এবং ভোরে চাটমোহর যান। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে চাটমোহর রেলস্টেশন মাস্টার গাজী গোলাম ফেরদৌস ও পাকশী রেলভূমি (এস্টেট) অফিসের কানুনগো আমিরুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়াসহ তাৎক্ষণিক বদলির নির্দেশ দেন মন্ত্রী। পরে ঈশ্বরদী জংশনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রেল সেক্টর দুর্নীতিতে ভরে গেছে। একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রেলকে গলাটিপে হত্যা করছে। রেলের স্লিপার ও তেল চুরি, টিকেট কালোবাজারি হচ্ছে, সবই লুটেপুটে খাচ্ছে একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী। মন্ত্রী বলেন, কে কত সম্পদের মালিক হয়েছে আমি তাদের ছাড়ব না, রেলের দুর্নীতির তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনকে কাজে লাগানো হবে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, পাকশী রেল বিভাগের সাড়ে ১৮শ’ একর জমির মধ্যে মাত্র ১১৩ একর রেলের দখলে রয়েছে। বাকি বেদখল সম্পত্তি এক মাসের মধ্যে পুনর্দখল করা হবে। পাকশী যাওয়ার পথে পাবনা-কুষ্টিয়া সংযোগকারী লালন শাহ সেতু ও সেতুর টোলপ্লাজা পরিদর্শন করেন যোগাযোগমন্ত্রী কাদের। টোলপ্লাজায় অনিয়মের অভিযোগ শুনে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
মন্ত্রীর সঙ্গে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, স্থানীয় সাংসদ শামসুর রহমান শরিফ ডিলু, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ফেরদৌস আলম, রেলের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ, পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার পঙ্কজ কুমার সাহা, ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা কিরণ চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।