দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মালয়েশীয় বিমান নিখোঁজ রহস্য এখন রহস্যই রয়ে গেছে। বিমানটির ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে তা এখনও কেও বের করতে পারেনি। তবে কোন কোন স্থানে বিমানটি যেতে পারে সে বিষয়ে বিভিন্ন মত রয়েছে।
বিমানটি কোথায় কোথায় যেতে পারে সে বিষয়গুলো বিভিন্ন গবেষকরা ভিন্ন ভিন্ন মত দিয়েছেন। বিমানটির গন্তব্য ও সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে বিবিসি অনলাইনে এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সম্ভাব্য গতিপথ ও পরিণতির বিষয়টি বিবেচনা করলে সংক্ষেপে যা আসে তার ৮টি সম্ভাবনা তুলে ধরা হচ্ছে।
বিএ ৭৭৭ বিমানের সাবেক পাইলট স্টিভ বুজদিগানের মনে করেন, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের উপকূলের খুব কাছাকাছি হওয়ায় নিখোঁজ বিমানটি ভারতের আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অবতরণের সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্য এই সম্ভাবনাকে ইতিমধ্যেই নাকচ করে দিয়েছেন আন্দামান ক্রনিকল পত্রিকার সম্পাদক। ওই সম্পাদক মনে করেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজর এড়িয়ে এমন কাজ করা খুবই কঠিন একটি কাজ।
নিখোঁজ বিমানটি কাজাখস্তানের যে কোন জনবিচ্ছিন্ন মরুভূমিতে অবতরণ করা অসম্ভব কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন সিলভিয়া রিগলি নামে অপর এক পাইলট। তাঁর মত, এমনও হতে পারে যে, বিমানের ট্রাফিক কন্ট্রোল পদ্ধতি বহু পুরোনো হওয়ার কারণে ছিনতাইকারীরা সহজেই রাডার থেকে বের হয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
যেহেতু বিমানটির ২৩৯ যাত্রীর মধ্যে ১৫৩ জনই চীনের নাগরিক। আর সেহেতু ধারণা করা যেতে পারে যে, চীনের বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুর গোষ্ঠি ওই বিমানটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেক্ষেত্রে তারা এই বিমানটি ছিনতাই করে চীনের তাকলামান মরুভূমিতেও নিতে পারে। তাকলামান নামক ওই মরুভূমিতে কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে সেখানে কোনো ভাবেই যাওয়া সম্ভব না।
বিমানটি মালয়েশিয়ার রাডার থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরও ৫/৬ ঘণ্টা উড়েছিল। নিখোঁজ বিমানটি যেখানে ছিল, সেখান থেকে দক্ষিণে ভারত মহাসাগর বা উত্তর অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যাওয়াটা অত্যন্ত সহজ ছিল। সেদিকে উড়ে গিয়ে হয়তো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এমন মন্তব্য করেছেন কনভেনটরি বিশ্ববিদ্যালয়, এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগের অধ্যাপক নরম্যান শ্যাঙ্কস।
অপর এক এভিয়েশন ব্লগার কেইথ লেজারউড মন্তব্য করেছেন, বিমানটি তার সমান্তরালভাবে ওড়া সিঙ্গাপুরের একটি বিমানের আড়ালে পড়ার কারণে তা রাডার থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। পরে দিক হারিয়ে ফেলে এবং বিমানটি ভারত বা আফগানিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। পরে বিমানটি হয়তো জিনজিয়াং, কিরগিজিস্তান কিংবা তুর্কমিনস্তানে অবতরণ করে থাকতে পারে। লন্ডনের ইউনিভার্সিটি কলেজ-এর রাডার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুগ গ্রিফিথস কেইথ লেজারউডের এই তত্ত্বটির বিশ্বাসযোগ্যতা আছে বলে মন্তব্য করেছেন।
মিডিয়া মুঘলখ্যাত রুপার্ট মারডক টুইটার বার্তায় মন্তব্য করেছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়নি, এটি পাকিস্তানের উত্তরে জনবসতিহীন কোনো এলাকায় কেও ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। তবে পাকিস্তান প্রথম থেকেই এমন আশঙ্কা পুরোপুরিভাবে নাকচ করেছে।
বিমানটিতে আগুনও লেগে যেতে পারে। আর তাই যাত্রীদের বাঁচাতে পাইলট বেইজিংয়ের পথ থেকে সরে আন্দামান সাগরের লঙ্কাউই দ্বীপে বিমানটি নিয়ে জরুরি অবতরণ পারেন। এভিয়েশন ব্লগার ক্রিস গুডফেলো এমন তত্ত্ব দিয়েছেন। তবে এই ব্লগারের তত্ত্বটি নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাইন-ইলেভেনের মতো নৃশংস সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ওই বিমানটিকে কোনো বড় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী ছিনতাই করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে যে, বিমানটি ছিনতাই করার পর স্বাভাবিক ভাবেই অবতরণ করে লুকিয়ে রাখা হয়েছে কোন স্থানে।
This post was last modified on মার্চ ২০, ২০১৪ 11:22 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ড এবং লেবাননজুড়ে ভয়াবহ হামলা চলমান রেখেছে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বপ্ন দেখে তা মনে রাখা সত্যিই দুষ্কর। আর তাই রাতের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…