ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সামপ্রতিক সময়ে একটি খবরে আবারও চিন্তিত হতে হয়েছে দেশের বিবেকবান মানুষদের। আর তা হলো চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১১টি আদিবাসী পাড়ায় শতকরা মাত্র ৫জন শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়!
খবরে বলা হয়েছে, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ১১টি আদিবাসীপাড়ায় শতকরা পাঁচটি শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, আদিবাসীপাড়ার আশপাশে কোনো সরকারি বিদ্যালয় না থাকায় এমন হয়েছে। সরকারের বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার আওতার বাইরে এসব আদিবাসী শিশু বড় হচ্ছে।
আদিবাসী শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্রে বঞ্চনার এক করুণ ছবির দেখা মিলেছে সরেজমিন অনুসন্ধানে। পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। আদিবাসীরা অভিযোগ করে বলেছে, শুধু শিক্ষা-চিকিৎসা নয়, মৌলিক অধিকারের কোনোটিই তারা পায় না। উপজেলার ১ নম্বর করেরহাট ইউনিয়নের কয়লা, নলখোঁ, সাবনীখিল, কালাপানি, পশ্চিম সোনাই, রহমতপুর, মগপাথর, ৯ নম্বর সদর মিরসরাই ইউনিয়নের রিজার্ভপাড়া, চৌধুরীপাড়া, ১২ নম্বর খৈয়াছরা ইউনিয়নের পূর্ব খৈয়াছরা এবং ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামে বসবাস করে পাঁচ হাজারের বেশি আদিবাসী। কিন্তু এসব এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই একটিও। ফলে পাঁচ-ছয় কিলোমিটার দূরের বিদ্যালয়ে যাওয়া শিশুর হার মাত্র পাঁচ শতাংশ। বাকিরা ন্যূনতম সাক্ষরতা অর্জনে ব্যর্থ হয়।
সরকারের সবার জন্য শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হলে এসব আদিবাসীদের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা জরুরি। কারণ হিসেবে দেখা গেলো, প্রাথমিক স্কুল অনেক দূরে হওয়ায় ছোট কোমল মতিরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন এসেছে। আর ঠিক সেই সময় এমন সংবাদ আমাদেরকে ব্যথিত না করে পারে না।
উল্লেখ্য, সামপ্রতিক সময়ে আমরা ঢাকা টাইমস্-এ বেশ কিছু এ ধরনের সংবাদ প্রকাশ করেছি। ১ সেপ্টেম্বর- ‘নান্দাইলে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা’, ২৬ জুলাই-‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড? শ্রেণীকক্ষের অভাবে পুকুরপাড়ে ক্লাস!’ ১০ মে-‘নদীগর্ভে গেছে স্কুল ॥ চায়ের দোকানে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা!’, ২৬ এপ্রিল- ‘বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম!’।