দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকল উন্নত প্রাণীর জন্য ঘুম অত্যাবশ্যক। শরীরের সকল কার্য সঠিক ভাবে সচল রাখতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, পোকা-মাকড়ও ঘুমায়। এমনকি উন্নত প্রাণীর মত নিয়ম করেই তারা ঘুমায়।
পোকা-মাকড়েরও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র আছে যা তাদেরকে নিয়মিত ঘুমোতে বাধ্য করে। তাদের রয়েছে সার্কাডিয়ান চক্র। এর কাজ হচ্ছে দিনরাত্রির চক্র সম্পর্কে প্রাণীকে অবহিত করে সময়মত ঘুমাতে সাহায্য করা। প্রত্যেক পোকা-মাকড় তাদের নিজস্ব সার্কাডিয়ান চক্র অনুসরণ করে।
অবশ্য সব কীট একই সার্কাডিয়ান চক্র বহন করে না। একেকটির একেক রকম। এরজন্য কোনটি দিনে আহার করে রাতে ঘুমায় আবার কোনটি রাতে আহার করে দিনে ঘুমায়। তাই আমরা কিছু কীট দিনে আর কিছু কীট রাতে দেখি।
২০০০ সালে প্রথম পোকা-মাকড়ের ঘুমের বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা শুরু করে ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোসাইন্স ইন্সটিটিউট এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। তারা এক ধরনের ফলের মাছি নিয়ে গবেষণা করে। তারা এর সার্কাডিয়ান চক্র সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টার পাশাপাশি এদের ঘুমের সময় লিপিবদ্ধ করে রাখে।
উক্ত গবেষণায় মাছির বিশ্রামের সময় তারা এদের অর্ধেককে জাগ্রত রাখে আর বাকি অর্ধেককে পুরো সময় জাগ্রত রাখে। দেখা যায়, যেসব মাছি ঘুমাতে পারেনি সেগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। আবার যেগুলো অন্যসময় ঘুমিয়েছে সেগুলোকেও অতটা প্রাণচঞ্চল দেখা যায়নি। এ থেকে বুঝা গেছে, এদের কার্যকর সার্কাডিয়ান চক্র রয়েছে এবং নির্দিষ্ট সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন।
ঘুমানোর স্বভাব এবং সার্কাডিয়ান চক্র নিয়ে গবেষকদের আগ্রহের সীমা নেই। সম্প্রতি কীটের ঘুম সম্পর্কিত এই ধরণের আবিষ্কার সত্যিই অসাধারণ। অনেকে ধারণা করছে এর ফলে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ অনেক বেশি সুবিধাজনক হবে।
সূত্রঃ TheTechJournal