দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করলা খেতে তিতা বলে আমরা অনেকেই খেতে ইতস্ততবোধ করি। কিন্তু এই করলায় রয়েছে বহু গুণাগুণ। আজ করলার গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
করলা এশিয়া, পূর্ব আফ্রিকা, ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ আমেরিকা এবং বাংলাদেশে জন্মে থাকে। করলা স্বাদে তিতা, তবে এর উপকার অনেক। এশিয়া অঞ্চলে হাজার হাজার বছর ধরে করলা ওষুধি হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। দক্ষিণ আমেরিকার আমাজান অঞ্চলের আদিবাসীরাও বহু বছর ধরে করলাকে ডায়াবেটিস, পেটের গ্যাস, হাম এবং হেপাটাইটিসের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। করলা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে, ম্যালেরিয়া জ্বরে ও মাথা ব্যথায়ও বেশ উপকারী।
করলায় রয়েছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালশিয়াম এবং কলার চেয়েও দ্বিগুণ পটাশিয়াম। করলায় রয়েছে লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও আঁশ। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট; যা সাধারণত বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
গবেষকরা বলেছেন, করলা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায় দেয়। এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এক ধরনের এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে এবং রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়ে থাকে। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগিরা করলা খেলে তাদের অনেক উপকার হয়ে থাকে। তাছাড়া করলা শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায় বলে গবেষকরা বলেছেন।
করলার কয়েকটি উপকার:
# করলা রক্তচাপ কমায়।
# করলায় রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগিস্নসারাইড কমিয়ে থাকে।
# করলায় কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়ায়।
# করলা ক্রিমিনাশক।
# করলা ভাইরাস নাশক- হিপাটাইটিস এ, হারপিস ভাইরাস, ফ্লু, ইত্যাদির বিরুদ্ধেও বেশ কার্যকর।
# করলা ক্যান্সাররোধী, লিভার ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, মেলানোমা ইত্যাদি প্রতিরোধ করে থাকে বলে গবেষকরা মনে করেন।
# করলা কোষ্ঠ কাঠিন্য দূর করে থাকে।
তাই বেশি করে করলা খান। আপনার খাদ্যের তালিকায় করলার অন্তত একটি আইটেম রাখুন। করলা খান সুস্থ্য সুন্দর জীবন-যাপন করুন।