দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত কয়েকদিনের ঘটনার কারণে কক্সবাজার সেন্টমার্টিনে পর্যটন শিল্পে ধস নেমেছে। গত কয়েক বছরের হরতাল-ধর্মঘটে যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল সেই প্রভাব কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই সাগরে ছাত্র ভেসে যাওয়ার ঘটনায় এই শিল্পে আবার নেমে এসেছে ধস।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে খ্যাত এই কক্সবাজার। দেশের পর্যটন শিল্পের সিংহ ভাগ বৈদেশিক মুদ্রাও আসে এখান থেকে। কিন্তু বিগত কয়েকটি বছরে দেশের রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে এই পর্যটন শিল্পে নেমেে আসে ধস। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক পরি্স্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়। এসময় এখানকার হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীরা আবার উঠে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করেই নেমে এলো এক অমানিষা। এমন এক পরিস্থিতি দূর করতে সরকারি কিছু উদ্যোগ দরকার। যদিও স্থানীয় প্রশাসন বেশ কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন। সেন্ট মার্টিনের যে সব স্থানগুলো অনিরাপদ সেগুলো নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেওয়া। তাহলে হয়তো আবার এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
জানা যায়, কক্সবাজার ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ সৈকতে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে আছে চোরাবালি এবং সৈকত সংলগ্ন সমুদ্রে রয়েছে মারাত্মক ঘূর্ণিস্রোত। এগুলোকেই বলা হয়ে থাকে মরণফাঁদ। এ কারণে প্রতিবছর বহু পর্যটক ওই স্রোতে ভেসে মারা পড়ছেন। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে কোনো ‘বিপদ সংকেত চিহ্ন’ নেই আবার অনেক স্থানে থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। যে কারণে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। চোরাবালির তথ্য সত্য নয় বলে দাবি করে থাকেন হোটেল-মোটেল মালিকরাও। এমন এক পরিস্থিতিতে সকল দিক বিবেচনায় এনে তড়িৎ ব্যবস্থা না নিলে এই শিল্পের বিপর্যয় ঠেকানো দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন।
উল্লেখ্য, স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা লাইফ গার্ডগুলোর তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ বছরে কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে মারা গেছে ৮৫ জনেরও বেশি মানুষ। এদের বেশির ভাগই তরুণ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে ক্লোজআপ ওয়ান সংগীত তারকা আবিদও রয়েছেন। সর্বশেষ ঢাকার আহছান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাণ দিতে হয়েছে।