দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের শহর সমূহের বিদ্যুৎ খুঁটি সমূহের দিকে একটু তাকালেই দেখা যাবে সেখানে অসংখ্য তারের জটলা, আসলেই এই তাঁর সমূহ কোন লাইন থেকে কোন লাইনে সংযুক্ত হয়েছে তাও নিশ্চিত করে বলা যাবেনা। এসব ভয়ংকর তারের জটলা থেকে ঘটছে নিয়মিত দুর্ঘটনা।
ঢাকা সহ দেশের সব কয়টি বড় শহরের উপরে দিন দিন বাড়ছে বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল দেখার কেউ নেই। এক লাইন থেকে বিদ্যুৎ যাচ্ছে ১০ লাইনে। যেখানে ১০ মিটারের বিদ্যুৎ সর্বরাহ হওয়ার কথা সেখানে বাড়তি হিসেবে সংযোগ দেয়া হছে ১৫ থেকে ২০ কিংবা তারও বেশি! এছাড়া রয়েছে ডিশ, ব্রড ব্র্যান্ড, সহ আরও নানান সংযোগ লাইন।
গ্রীষ্মের এই দাবদাহ শুরু হতে না হতেই ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ বৈদ্যুতিক কারণে আগুনও লেগেছে কয়েক জায়গায়। এসব আগুনের বেশিরভাগের সূত্রপাত বিদ্যুৎ লাইনে বাড়তি ভোল্টেজ থাকার কারণে। তাছাড়া বিদ্যুৎ পিলার সমূহে অনিয়ন্ত্রিত তারের অনিরাপদ জটলা কখন ডেকে আনে ভয়ংকর বিপদ তা কেউ জানেনা। গ্রীষ্মের সময় এবং বর্ষার সময় রাস্তার পাশের খুঁটির তার ছিঁড়ে পানিতে পড়ার কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যার হিসাব রাখা হয় না।
গত ২০ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনশ্রীর বি ব্লকের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে অল্প আগুন থেকে অনেক বড় আগুনের সৃষ্টি হয় খুঁটিতে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে খুঁটির আগুন নেভানো হলেও সরকারের অগ্নিনির্বাপক বা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ছিল না কোনো পদক্ষেপ। এমনকি পরের দিন বেলা ১২টা পর্যন্ত এই দুর্ঘটনা রোধে নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। সরকার বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে একের পর এক পাওয়ার প্ল্যান্ট বসাচ্ছে আর খুঁটি বসাচ্ছে নতুন নতুন জায়গায়। কিন্তু খুঁটিতে আগুন লেগে গেলে কিংবা কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সাধারণ জনগণ কী করবে সে বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকরী সচেতনতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ।
ফলে, এখনই আমাদের সকল মহলকে এই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। তা না হলে নিয়মিত এসব বিদ্যুৎ জাল থেকে ঘটবে দুর্ঘটনা প্রাণ হারাবে মানুষ। এসব বিদ্যুৎ তারের অযাচিত এবং অপরিকল্পিত সংস্থাপন এখনই বন্ধ করতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে একটি নিয়মতান্ত্রিক উপায় যাতে শহর হবে নিরাপদ এবং সুশ্রী।