দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী ভয়ংকর গুটিবসন্ত ভাইরাস ১৯৭৯ সালে বিশ্ব থেকে নির্মূল হয়ে গেলেও আমেরিকার বিশেষ চেম্বারে থাকা কঠোর প্রহরাধীন গবেষণাগারে এ ভাইরাসের মজুদ রয়েছে, যা মার্কিন প্রশাসন পুরোপুরি ধ্বংস করতে চাইছেনা।
ভয়ংকর গুটিবসন্ত ভাইরাসে একমাত্র বিংশ শতকেই মারা গেছে ৩০ কোটি মানুষ। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে গুটিবসন্তে আক্রান্ত মানুষদের এক তৃতীয়াংশই প্রাণ হারিয়েছেন। সফল ভাবে গুটিবসন্তের নিরাপদ টিকা তৈরির পরে ১৯৭৯ সালের দিকেই পৃথিবী থেকে এই রোগ সম্পূর্ণ রুপে নির্মূল হয়ে যায়। তবে সেই সময় সারা বিশ্ব থেকে গুটিবসন্ত নির্মূল হলেও আমেরিকা ও রাশিয়ার দু’টি কঠোর প্রহরাধীন গবেষণাগারে এ ভাইরাসের মজুদ রয়েছে। সেখানেই এই ভাইরাসের বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা চালিয়ে আসে। ইতোমধ্যে ভবিষ্যতে পৃথিবীতে আবার গুটিবসন্তের সংক্রামণ ঘটে তবে একে প্রতিরোধ করতে বিশেষ টিকা আবিষ্কার হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে এ রোগ নির্মূলের পর জীবিত ভাইরাসের মজুদ ধ্বংস করে ফেলা হবে। তবে এ ভাইরাস ঠিক কখন ধ্বংস করা হবে সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত সে সময়ে নেয়া হয়নি। ফলে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে এই ভাইরাস জীবাণু এখনি ধ্বংস করে ফেলা উচিৎ। তবে মার্কিন প্রশাসন এক্ষেত্র দ্বিমত পোষণ করছেন এবং তারা মনে করছেন এই ভাইরাস এখনই ধ্বংস করার সময় আসেনি।
এদিকে বিভিন্ন মহল মনে করছেন এই ভাইরাস একক কনো দেশের হাতে থাকলে তা ভবিষ্যতে জীবাণু অস্ত্র হিসাবে ব্যবহারের সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া একই সঙ্গে সন্ত্রাসী হামলা বা গবেষণাগারের দুর্ঘটনায় কারণে এ রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে কিনা তাও বিবেচনা করা হচ্ছে। এ ভাইরাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য চলতি মাসের শেষ দিকে আবার বৈঠকে বসবেন বিশ্বের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা।
বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা সংস্থা মনে করছেন এই ভাইরাস এখনই নির্মূল করা জরুরী। তারা বলছেন, সিনথেটিক বায়োলজির কল্যাণে ‘কৃত্রিম’ ভাবে এ ভাইরাস তৈরি সম্ভব হয়ে উঠছে। অবশ্য এ প্রযুক্তির শুভ এবং অশুভ দু’টি দিকই রয়েছে। থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের “লিম লি চিং” মনে করেন “ভ্যারাইওলা” নামের গুটিবসন্তের ভাইরাস ধ্বংসের সময় এসেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর পক্ষ নিয়ে লবি করার তৎপরতার নিযুক্ত এবং গুটিবসন্তের ভাইরাস ধ্বংসের বিষয়টি সমর্থন করছে এ সংস্থাটি। লিম লি চিং বলেন, গুটিবসন্ত নিয়ে গবেষণা কার্যকর ভাবে সফল হয়েছে এবং এ ভাইরাসের মজুদ ধ্বংসের পক্ষে যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি জোরালো যুক্তি রয়েছে।
সকল আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্থার মতামত উপেক্ষা করেও কেন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কাছে মজুদ রাখা ভয়ংকর গুটিবসন্ত ভাইরাস ধ্বংসের বিরোধিতা করছে তা বিশ্ব বাসীর কাছে অনেকটাই রহস্য জনক এবং সন্দেহ জনক বলেই বিবেচ্য।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল
This post was last modified on জুলাই ১১, ২০১৮ 10:00 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মারণব্যধি ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিনা খান।…