দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক দশক বা তার কিছু আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অস্পষ্ট একটি ধারণা ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমাদের মোবাইল সেটেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, যেমন সিরি, কর্টানা এবং অন্যান্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর সেবা। পদার্থ বিজ্ঞানের জীবন্ত কিংবদন্তি স্টিফেন হকিং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আজ মানুষের জন্য খুবই কার্যকরি ভূমিকা পালন করছে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট থেকে শুরু করে চিকিৎসাশাস্ত্রে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি অসাধারণভাবে কাজে লাগছে। এত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও স্টিফেন কেন সাবধান করলেন?
ভাল দিকের পাশাপাশি এর খারাপ ব্যবহার শুরু হয়েছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আরো শক্তিশালী অস্ত্র এবং সৈন্যবাহিনী তৈরির প্রচেষ্টায় মগ্ন।
স্টিফেন হকিং’র মতে, আমদেরকেই নিজেদের ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে হবে। যদি সবাই হেলাফেলা এবং মুনাফা লাভের আশায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তবে শীঘ্রই এমন সময় আসবে যখন কম্পিউটার মানুষের চেয়ে বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে এটি অত্যন্ত খারাপ পরিণতি ডেকে আনবে।
তিনি সম্প্রতি লিখেছেন, ‘পদার্থের এমন কোন ধর্ম নেই যার জন্য ক্ষুদ্র কণা একত্রিত হয়ে মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে শক্তিশালী ও নিখুঁত হিসাব করতে বাধাপ্রাপ্ত হবে।’ হকিং দুঃখ করে বলেছেন, যে ব্যাপারটি অবশ্যম্ভাবী সে বিষয়ে বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের কোন মাথাব্যথা নেই। অনেকেই আজ আসন্ন ভবিষ্যতকে উপেক্ষা করে চলছে।
হকিং আরো লিখেছেন, ‘আরভিং ১৯৬৫ সালে যেমনটা ধারণা করেছিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মেশিন বারবার তাদের ডিজাইন উন্নত করতে পারে, যাকে ভার্নর ভাইন বলেছেন সিঙ্গুলারিটি।’ যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একবার এই পর্যায়ে যেতে পারে তবে মানুষের পক্ষে এই শক্তি থামানো সম্ভব হবে না।
তাই সময় থাকতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সীমিত ও কার্যকর উপকারী দিকে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য স্টিফেন হকিং সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন। যদি এখনি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তবে ভবিষ্যতে আফসোস করা ছাড়া গতি থাকবে না।
সূত্রঃ TheTechJournal