দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। আজ মঙ্গলবার, ৬ মে ২০১৪ খৃস্টাব্দ, ২৩ বৈশাখ ১৪২১ বঙ্গাব্দ, ৭ রজব ১৪৩৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্থানের মধ্যে পাহাড়পুর একটি অন্যতম স্থান। এটি নওগাঁ জেলার মধ্যে অবস্থিত।
নবম শতাব্দীর শুরু থেকে কতিপয় বিদেশী এক রাজা যে ইতিহাস মুছে দিতে শুরু করেন। ১২শ’ শতাব্দীর সেন রাজ বংশের শাসন শুরু হলে তা আবার বাস্তবে রূপ লাভ করে। ইতিহাস হতে হারাতে শুরু করে পাল রাজ বংশের বিশ্বখ্যাত সোমপুর বিহারের চিহৃ। পাল রাজ বংশের শাসন আমল থেকে বার বার আক্রমণ আর সেন রাজ বংশের বাংলা শাসনামলে বাঙাল সেনাদের আগুন দিয়ে এই বিহার পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এরপর থেকে এখানকার ভিক্ষুরা চলে যেতে শুরু করেন। সেন রাজ বংশের শাসন আমলেই পরিত্যাক্ত হয় বিশ্বখ্যাত সোমপুর বিহার। যুগ যুগ ধরে এই বিহারের উপর দিয়ে জমতে থাকা মৌসুমী বায়ু প্রবাহের ফলে বয়ে আসা ধুলি-বালি বিহারটি ঢাকা পড়ে এক বিশাল পাহাড়ের।
১৯২৩-১৯৩৪ সাল পর্যন্ত তৎকালী্ন ইংরেজ শাসকগণ খনন শুরু করে ইতিহাসের সামনে নিয়ে আসেন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলাধীন পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার। যা আজ এক ঐতিহাসিক নির্দশন হিসাবে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীখ্যাত। দেশ-বিদেশের হাজার হাজার পর্যটকের কাছে এই পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ঘিরে রয়েছে এক বিশাল আগ্রহ-উদ্দীপণা। আপনি যদি এখানে না গিয়ে থাকেন তাহলে যেতে পারেন ইতিহাসের এক স্বাক্ষী এই ঐতিহাসিক স্থানটি দেখতে।