দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিথ্যা বলা মানুষের একটি স্বভাব। প্রয়োজনে আবার কখনও বা অপ্রয়োজনেও মিথ্যার আশ্রয় নেওয়া হয়। মানুষ কী কারণে মিথ্যা বলে, এটা বিজ্ঞানীদের কাছে রহস্যের বিষয়। এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে বিস্তর। নতুন এক গবেষণা চালিয়ে মনোবিজ্ঞানীরা সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করেছেন, তারা মিথ্যা বলার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, সময় নিয়ে মানুষ যখন চাপের মধ্যে থাকে এবং আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য উদগ্রীব থাকে, তখনই সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলে। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া ও সময় নিয়ে চাপে থাকা ছাড়াও মানুষ মিথ্যা কথা বলে, যখন দেখে ধরা পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই তখন।
সম্প্রতি এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব আমস্টারডামের মনোবিজ্ঞানী সাউল সালভি ও ইসরায়েলের বেন গুরিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অরি এডলার ও ইয়েলা বেরিবি। গবেষক সালভি বলেন, নিজ স্বার্থের সঙ্গে জড়িত বা আর্থিকভাবে লাভবান হবেন এমন বিষয়ে যখন খুব দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত দিতে হয় তখন মানুষ মিথ্যা বলাসহ যে কোনো কিছু করতে পারে। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, এ পরিস্থিতিতে সময় বেশি পেলে মানুষ মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ মিথ্যা বলে যখন দেখে ধরা পড়ার আশঙ্কা নেই। টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
তবে এমনও দেখা গেছে, অনেকেই মিথ্যা বলতে বলতে এক বদ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। আর তখন মানুষ প্রয়োজন ছাড়াও বা ছোট-খাটো বিষয়েও অপকটে মিথ্যা বলে থাকে। যুগ যুগ ধরে এই প্রবৃত্তি মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে রিপোর্টে অবশ্য গবেষকরা কোন কিছু বলেননি।