দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ্যাসিডিটি প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করার সাধারণ কিছু উপায় রয়েছে। পেটের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্থি, বমি ভাব মূলত এ্যাসিডিটির প্রধান লক্ষণ। প্রাথমিক পর্যায়ে এ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করবেন কিভাবে সেই বিষয়ে আজকের আলোচনা।
মূলত আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যাভাস ও গরম আবহাওয়া এ্যাসিডিটি হওয়ার জন্য যথেষ্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে এ্যাসিডিটির ওষুধ না খেয়েও সাধারণ কিছু খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
অল্প এ্যাসিডিটি বা গ্যাস গ্যাস অনুভব করলে সাথে সাথে কিছু কাজ করতে পারেন সহজে:
# হালকা গরম পানি ও অল্প চিমটি পরিমাণ লবণ দিয়ে পানি পান করুণ।
# চুইন জিনজার বা চুইন গাম খান।
# পায়ে হালকা উষ্ণ পানি ঢালুন।
# এ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রক ওষুধ খান।
সব সময় এ্যাসিডিটি বা গ্যাস ভাব নিয়ন্ত্রণ করার উপায়:
# ডাবের পানি প্রতিদিন একবার হলেও খাওয়ার চেষ্টা করুণ।
# পুদিনা পাতা পানিতে সেদ্ধ করে ওই পানি দিনে দুইবার পান করুণ।
# রাতে মৌরি পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে পানিতে ১ চা চামচ মধু দিয়ে পান করুণ।
# দেড় লিটার পানিতে ১ টেবিল চামচ সা-জিরা ১৫ মিনিট ফুটিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুণ। এটি দিনে ২/৩ বার পান করতে পারেন।
# আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় তরমুজ, কলা, শষা ও কাঁচা পেঁপে রাখুন। বিশেষ করে তরমুজের রস ও কাঁচা পেঁপে এ্যাসিডিটি নিরাময়ে খুবই কার্যকর।
# মৌরি, আদা, লেবু, টক দই এ্যাসিডিটি বা গ্যাস উপশমে খুবই দ্রুত কার্যকরি।
# প্রতিদিন এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ খান (যদি দুধ নিয়ে কোনো এলার্জি সমস্যা না থাকে)।
# খাবার পর মুখে এলাচ/লবঙ্গ রাখুন এতে মুখে সতেজতা থাকবে এবং গ্যাস ভাব কম হবে।
# দুপুরে খাবার এক ঘণ্টা আগে লেবুর শরবত খান। এতে খাবার পর অস্বস্থি অনুভব কম হবে।
অন্যান্য সাধারণ কিছু নিয়ম:
১. দীর্ঘ সময় ধরে না খেয়ে থেকে ২/৩ ঘণ্টা পর পর অল্প পরিমাণ খাবার খান। এতে এ্যাসিডিটি হওয়ার প্রবণতা কমে আসে।
২. খুব দ্রুতগতিতে না খেয়ে, একটু ধীরে খান।
৩. একবারে অধীক পরিমাণে খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুণ।
৪. অধীক তেল-মস্লা জাতীয় খাবার পরিহার করুণ।
৫. প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করুণ।
৬. রাতে শোয়ার অন্তত ২/৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন।
উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে এ্যাসিডিটি থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকতে পারবেন।