দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোকাকোলা এবং পেপসিকো সম্প্রতি এক বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছে যে, তারা তাদের পানীয় পণ্যগুলো থেকে বিতর্কিত উপাদানগুলো সরিয়ে নেবে। পানীয় পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে কোকাকোলা, পেপসি, মাউন্টেন ডিউ, ফানটা, পাওয়ারেড সহ আরো অনেক।
পানীয় পণ্যের এই উপাদানগুলোকে বলা হয় ব্রোমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েল। এটি আসলে বিভিন্ন প্রকার ভেজিটেবল অয়েলের সাথে ব্রোমিনের দ্রবণ মিশ্রিতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে। চেঞ্জ ডট অর্গ নামের একটি কোম্পানীর পিটিশনের ভিত্তিতে কোকাকোলা এবং পেপসিকো কোম্পানী এই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই পিটিশনটি এসেছে মিসিসিপির একটি কিশোরীর কাছ থেকে যে চাচ্ছে পেপসিকোর গ্যাটোরেড এবং কোকাকোলার পাওয়াররেডকে এই ক্ষতিকর উপাদানগুলো মুক্ত করতে। সারাহ ক্যাভেনেগ নামের এই তরুণী আদালতের পিটিশনে বলে যে, পেপসিকো এবং কোকাকোলা তাদের পানীয় পণ্যে যে ব্রোমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েল ব্যবহার করে থাকে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে এবং জাপানে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু কোকাকোলা এবং পেপসিকো দাবি করছে তাদের এই ভেজিটেবল অয়েলটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক। এখানে রাসায়নিক উপাদান মিশ্রণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যগত নীতিমালা মেনে চলা হয়েছে। তারা আরো বলছে এই উপাদানটি ব্যবহারের কারণ ডায়েট নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এর ভূমিকা জোরালো।
পেপসিকো কোম্পানীর দাবি, তারা গত বছর তাদের গ্যাটোরেড পানীয় থেকে এই ব্রোমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েলটি সরিয়ে নিয়েছে। পেপসিকো বলছে তারা বর্তমানে তাদের অন্যান্য পানীয় পণ্য থেকে এই উপদানটি সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে। পেপসিকো তাদের মাউন্টেন ডিউ এবং এএমপি এনার্জি ড্রিঙ্কসে বিভিও বা ব্রোমিনেটেড ভেজিটেবল অয়েলটি বেশি ব্যবহার করে থাকে। কোম্পানীটি নির্দিষ্ট করে বলেনি কবে নাগাদ তারা তাদের সকল পানীয় পণ্য থেকে বিভিওটি সরিয়ে নেবে। সম্প্রতি আরেকটি বিবৃতিতে কোকাকোলা দাবি করে তাদের সকল পানীয় থেকে এই বিতর্কিত উপাদানটি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কোকাকোলা তাদের পাওয়ারেড পানীয়তে বিভিওটি বেশি ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও ফানটা, ফ্রেসকা থেকে শুরু করে আরো অনেক সাইট্রাস ফ্লেভার দ্রবণেও এর ব্যবহার রয়েছে। কোম্পানীটি আরো দাবি করে এই উপাদানটি যুক্তরাষ্ট্র স্বাস্থ্য আইন আনুসারেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
কোকাকোলা বলছে, জনস্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে বর্তমানে তারা এর পরিবর্তে সুক্রোজ এসিটেট আইসোবোরেট ব্যবহার করবে এবং গ্লিসারলের পরিবর্তে রোজিন ব্যবহার করে থাকে। কোকাকোলা বলে শুধুমাত্র তারাই নয়, কানাডা এবং ল্যাটিন আমেরিকার অনেক পানীয়তেও এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ টাইমসঅবইন্ডিয়া