দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরান দাবি করছে তারা ২০১১ সালে আটক করা আমেরিকার গোয়েন্দা ড্রোনটিকে নিজেরা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ইরানিয়ান রেভ্যুলেশন গার্ড গত শনিবার সেই ড্রোনটির একটি কপি তেহরানে প্রদর্শন করে।
আমেরিকার গোয়েন্দা ড্রোনটি ছিল লকহিড মার্টিন কোম্পানীর আরকিউ-১৭০ সেন্টিনাল টাইপ। ইরান তাদের বাৎসরিক সেনা উৎসবে এই ড্রোনটি তাদের প্রধান নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর সামনে প্রদর্শিত করে। এই সময় স্থানীয় গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইরানের রেভ্যুলেশনারী আর্মির প্রযুক্তিগত কল্যাণে তারা ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে আমেরিকার আরকিউ-১৭০ সেন্টিনাল ড্রোনটি আটক করতে সক্ষম হয়। ড্রোনটি আটকে জোরালো ভূমিকা ছিল রেভ্যুলেশনারী আর্মির সাইবারওয়্যার ইউনিটের। ড্রোনটিকে আটক করা হয় ইরানের কাশমার শহর থেকে। কিন্তু ইউএস সরকার প্রথমদিকে আটকের এই ঘটনাটিকে অস্বীকার করে। কিন্তু পরবর্তীতে তারা নিশ্চিত করে ইরান সিআইএ এর একটি ড্রোনকে দখল করতে পেরেছে।
গত বছর ইরান একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। তারা দেখায় ড্রোনের ভেতরের ক্যামেরাটি ডিকোড করতে পেরেছে। এই ভিডিওর মাধ্যমে তারা দাবি করে যে, এই ড্রোনের গঠন তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে এবং এইরকম আরেকটি ড্রোন তারা তৈরি করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা এই ভিডিও ফুটেজটি দেখে তখনি মত প্রকাশ করেন ভিডিওটি সত্য। এবং ইরান ড্রোনের ভেতরের প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে। অসম্ভব যে কাজটির কথা এতোদিন বলা হচ্ছিল ইরান তা করতে সক্ষম হয়েছে। ইরান সাম্প্রতিক ড্রোনটির হুবহু আরেকটি তৈরি করতে পেরেছে। দি অ্যাভিয়ানিস্ট নামের একটি ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ডেভিড সিনোট বলেন, ইরানের পক্ষে অবশ্যই এই ড্রোনটির কপি তৈরি করা সম্ভব কেননা এর অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে একটি স্টোরেজ ব্যবস্থা থাকে এবং ইরানিয়ান প্রকৌশলীদের ক্ষেত্রে এটি খুজে বের করা অসম্ভব কিছু নয়।
সিনোট তার ব্লগে আরো বলেন যে, চীন ইতোমধ্যে আরকিউ-১৭০ মডেলের একটি ড্রোন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। সেখানে ইরানের নিকট এইরকম একটি ড্রোন থাকার পরও কপি না করা অসম্ভব কিছু নয়। সিনোট বলেন, ইরান আরো জটিলতর সিস্টেম নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ করে ইতিবাচক ফলাফল পেয়েছে সেখানে এই ড্রোনটিরও আরো কোন সংস্করণ তারা তৈরি করতে পারে। উল্লেখ্য যে, এর আগে ইরান এফ-১৪ নামের একটি জটিল বিমানের কপি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল যা ছিল ইসরাইলের তৈরি একটি বিশেষ ধরনের বিমান। ড্রোন হলো একধরনের পাইলটবিহীন যুদ্ধ বিমান। একে সামরিক ভাষায় বলা হয় আনম্যান্ড এয়ার ভেহিকল বা ইউএভি। একটি আরকিউ-১৭০ সেন্টিনাল ড্রোনে থাকে গ্রাউন্ড কন্ট্রোল সিস্টেম, একটি রকেট লাঞ্চার এবং গ্রাউন্ড ডাটা টার্মিনাল সিস্টেম। এই তিনটি সিস্টেমের সমন্বয়ে একটি ড্রোন স্যাটেলাইটের সাহায্য নিয়ে টার্গেটেড বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করে। এছাড়াও এটি গোয়েন্দা কাজে ব্যবহৃত করা হয় বলে এটি কোন এলাকার মোবাইল, রেডিও সংকেত ধারণ করতে পারে।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনীর অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ইরানের এই নতুন ড্রোনটির বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। তার একটি টুইটার বার্তায় এর সাথে জড়িত সকল কলাকৌশলীদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ ম্যাশেবল
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪ 9:16 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…