দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের ফেসবুক পোস্টে কম কমেন্টস থাকে কিংবা যাদের কমেন্টস বা পোস্টে তাৎক্ষণিক উত্তর আসে না তাদের ক্ষেত্রে নিজেদের ভেতরে আত্ম-মর্যাদার ঘাটতি সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রতিক একটি নিউরোলজিক্যাল গবেষণায় এই তথ্যটি উঠে এসেছে।
নতুন এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের সামাজিকতা নিয়ে চিন্তা করতে নতুনভাবে সাহায্য করে থাকে। কিন্তু এই সকল সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তারা যদি যথেষ্ট পরিমাণ সাড়া না পায় তবে তা তাদের নিজেদের ভেতর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। নেতিবাচক এই সকল প্রভাবের ফলে তারা নিজেদের ভেতরের আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে তারা আত্মকেন্দ্রিক এবং একাকীত্ব হয়ে পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের নিউরোসাইকোলজি বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে এই গবেষণাটি করা হয়। এই গবেষণাটির প্রধান ছিলেন অধ্যাপক স্টিফেন টোবিন। তিনি বলেন, তারা মূলত নজর দিয়েছিলেন দুটি বিষয়ের উপর একটি হলো মনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন অনুভূতিগুলো কিভাবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে আর এই মাধ্যমগুলোতে নেতিবাচক সাড়া কিভাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। মূলত এই গবেষণার উদ্দেশ্য হলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর অবস্থান ব্যক্তির ভেতরে যে অবজ্ঞাপূর্ণ অবস্থার সৃষ্টি করে তা তুলে ধরা। এই গবেষণাটি চলার সময় একটি গ্রুপ নিয়মিত ফেসবুক পোস্ট করে গিয়েছে এবং অপর আরেকটি গ্রুপ সেই পোস্টগুলো দেখেছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দুইদিনের বেশি পোস্ট না দেওয়ার ফলে তাদের ভেতরে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।
এই রকম আরেকটি গবেষণায় একদল ব্যবহারকারী একটি পোস্টের উপর ক্রমাগত কমেন্টস বা মন্তব্য করতে থাকে। তাদের মধ্যে কিছু ব্যবহারকারী টেকনিক্যালি এমনভাবে সেট-আপ করা হয় যেন তারা তাদের মন্তব্যর উপর মন্তব্য দেখতে না পায়। তাদের উভয়ের সাক্ষাৎকারে দেখা যায় যে, তারা তাদের আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা এবং নিজের মনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন এবং নিজেদের প্রতি নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। এই গবেষণা থেকে গবেষকরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সক্রিয়তা ব্যক্তির মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং আত্মমর্যাদা বাড়াবে।
তথ্যসূত্রঃ আইবিএনলাইভ