দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খুব ঢাক-ঢোল পিটিয়েই ঢাকা দক্ষিণ ট্র্যাফিক বিভাগ ঢাকার রাস্তায় আলোচিত ট্র্যাফিক কন্ট্রল স্পাইক বসায়, তবে বসানোর তিন দিনের মাথায় গাড়ীরোধক স্পাইক গুলোর কিছু নাই হয়ে গেছে আবার কিছু কিছু গাড়ির চাপে বেঁকে গেছে!
শুক্রবার ঢাকার রাস্তায় রমনা পার্কের অরুণোদয় গেটের উল্টোদিকে ও ফরেন সার্ভিস একাডেমির সামনে বিশেষ ধরণের এই প্রতিরোধ ডিভাইস বসায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ট্রাফিক। লক্ষ্য ছিলো রাস্তায় হুট হাট যত্রতত্র ভাবে উল্টা দিক থেকে গাড়ি প্রবেশ বন্ধ করা।
বিভিন্ন ভাবে বলেকয়ে যখন ট্র্যাফিক আইন মানানো যাচ্ছিলোনা বাধ্য হয়েই অনেকটা নীরবে ঢাকা দক্ষিণ ট্র্যাফিক পুলিশ রাস্তায় এই আধুনিক ট্র্যাফিক কন্ট্রল স্পাইক বসায়। তবে বসানোর আগেই গণমাধ্যমের কল্যাণে সারা দেশে বিষয়টি আলোচিত হয়ে উঠে।
কিন্তু পুলিশ মহাপদির্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারের উদ্বোধন শেষে তিন দিন যেতে না যেতেই আধুনিক এসব ট্র্যাফিক স্পাইকে দেখা দিয়েছে গোলযোগ। যদিও স্পাইক সমূহ সোজা পথে গাড়ি আসলে কোন সমস্যা না করে এতে থাকা স্প্রিং এর সাহায্যে নীচু হয়ে যায় কিন্তু উল্টা পথে গাড়ি এলেই এটি গাড়ির চাকায় এতে থাকা বিশেষ শলাকা ঢুকিয়ে দিয়ে গাড়ির চাকা লিক করে দেয়।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে বসানোর মাত্র তিন দিনের মাথায় স্পাইক গুলো গাড়ির চাপে নিজেরাই ঘায়েল হয়ে গেছে। বেশিরভাগ স্পাইক বেঁকে গেছে, অনেক যায়গায় স্পাইক নাই হয়ে গেছে।
কেন হবে এমনটা? এর উত্তরে জানা যায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যানবাহন চলার কারণেই এমন হতে পারে। তবে বিদেশ থেকে আমদানি করা এসব স্পাইকের মান নিয়েও অনেকের প্রশ্ন আছে!
ঘটনা যাই হোক, বহুল আলোচিত এসব ট্র্যাফিক স্পাইক অবাধ্য মানুষকে ট্র্যাফিক আইন শেখানোর বদলে নিজেরাই এভাবে তিন দিনের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়াতে বিষয়টি এখন অনেকটাই পাবলিকের হাসির খোরাকে রুপ নিয়েছে।