দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, দেশটির উগ্রবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারাম স্কুলের মেয়েদের অপহরণ করে কোথায় আটকে রেখেছে তা তাদের জানা আছে। তবে তারা ছাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি হতে পারে ভেবে তাদের উদ্ধার করবেনা বলে জানিয়েছে।
এপ্রিলের গোড়ার দিকে নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে দুই শতাধিক ছাত্রীকে অপহরণ করেছে বোকো হারাম। তবে বেশ কিছুদিন হয়ে গেলেও নাইজেরিয়ার সরকার এসব মেয়েদের উদ্ধার করতে পারেনি। এর মাঝে বোকো হারাম এর পক্ষ থেকে বন্দি বিনিময় চুক্তি করার আহ্বান জানানো হলে নাইজেরিয়া সরকার তাতে অস্বীকৃতি জানায়।
মূলত সারাবিশ্ব বোকো হারাম কর্তৃক এক সাথে শতাধিক নারীকে অপহরণ করার বিষয়ে তীব্র উদ্রেগ জানিয়ে আসছে। নাইজেরিয়াতে অপহৃত পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত তাদের মেয়েদের ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল ওবামাও নিজের টুইটারে একটি ছবি প্রকাশের মাধ্যমে মেয়েদের ফেরত চেয়েছেন।
এদিকে, গত শুক্রবার নাইজেরিয়ার শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা স্থানীয় একটি দৈনিককে বলেছেন, উত্তর নাইজেরিয়ার চাদ হ্রদের কাছে তিনটি শিবিরে অপহৃত ছাত্রীদের আটক রাখা হয়েছে বলে খোঁজ পাওয়া গেছে। যেখান থেকে ছাত্রীদের অপহরণ করা হয়েছে- সেখান থেকে এ অঞ্চলটি প্রায় ২০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
এই বিষয়ে নাইজেরিয়ার এয়ার মার্শাল আলেক্স বাদেহ্ বলেছেন, “অপহৃতদের পরিবারের জন্য আশার খবর এই যে, তাদের অপহৃত মেয়েদের কোথায় রাখা হয়েছে তা নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী জানে কিন্তু সে স্থানটির নাম প্রকাশ করা হবে না। এ ছাড়া, উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে যেয়ে আটক মেয়েরা নিহত হোক তাও নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনী চায় না।”
ভিডিওঃ
এর আগে নাইজেরিয়ার এসব অপহৃত মেয়েদের ভিডিও প্রকাশ করে বোকো হারাম, ভিডিওতে বলা হয়, অপহৃত এসব মেয়ে ইতিমধ্যে ইসলাম গ্রহণ করেছে। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ওইসব মেয়েদের বোরকা গায়ে দেয়ানো হয়েছে এবং নামাজ পড়ানো হচ্ছে। ভিডিওতে বলা হয়, যদি বন্দি বিনিময় চুক্তিতে নাইজেরিয়া সরকার না আসে তবে এসব মেয়েদের বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেয়া হবে।
সূত্রঃ মেশ্যাবল | এসোসিয়েটেড প্রেস