দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাশিয়ার একজন জেলে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ৪০০০ বছরের পুরোনো প্যাগান দেবতার একটি ভাস্কর্য খুঁজে পেয়েছে। রাশিয়ার প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই আবিষ্কারকে অনন্য এবং অভূতপূর্ব বলেছেন। স্থানীয় জেলে তারাশভ রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রাম তিশুলে বসবাস করে থাকে।
তারাশভ এই অপ্রত্যাশিত আবিষ্কার সম্পর্কে বলে যে, আমি আমার জাল পানিতে নিক্ষেপ করে তা টেনে উপরে তুলছিলাম। কিন্তু এটিকে অনেক ভারী মনে হচ্ছিল তাতে আমি ভাবলাম এতে জড়িয়ে আছে অনেক পাথর। আমি আমার সঙ্গীর সহযোগিতায় একে উপরে তুলে দেখলাম এটি একটি পাথর কিন্তু এর মুখায়বব রয়েছে। আমি একে নদীর পানিতে পরিষ্কার করলাম।
অপ্রত্যাশিত আবিষ্কারের আকৃতিটিতে ছিল দুটি বড় বড় চোখ এবং এর মুখের বেশির ভাগ অংশজুড়েই ছিল এর ঠোঁট। একে দেখতে বেশ বিদ্ঘুটে এবং ভয়ংকর লাগছিল। এরপর জেলেটি একে স্থানীয় মিউজিয়ামে নিয়ে গেল। সেখানকার বিশেষজ্ঞ জানালো যে, এটি ব্রোঞ্জ যুগের একটি নিদর্শন। জেলেটি এই সম্পর্কে বলে যে, আমি ভেবেছিলাম এটি হয়তো কয়েকশত বছরের পুরোনো একটি প্রত্নতত্ত্ব হয়ে থাকবে। কিন্তু আমি ভাবিনি এটি হাজার বছরের পুরনো কোন নিদর্শন।
জাদুঘরের কিউরেটর মনে করেন, এটি কেমেরভ শহরের কোন একটি নিদর্শন কেননা আজ থেকে ৪০০০ বছর পূর্বে সেখানে একটি চমৎকার প্যাগান শহর ছিল। ভাস্কর্যটি বার ইঞ্চি লম্বা এবং দুই ইঞ্চি চওড়া। তিশুল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে এটি একটি প্যাগান দেবতার মূর্তি। তবে এর সঠিক সময়কাল নির্ধারণ করাটা বেশ দুরহ হয়ে থাকবে। কেননা ব্রোঞ্জ যুগের ব্যপ্তিকাল অনেক বেশি এই সময়কালে কোথায় কোন সভ্যতায় এটি তৈরি করেছে কিংবা কাদের দেবতা ছিল এই কিম্ভুতকিমাকার ভাস্কর্য তার সঠিক নির্ধারণ করা এখনো সম্ভব হয়নি।
তথ্যসূত্রঃ ডেইলিমেইল