দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তার সাবেক প্রেমিক আসাম মার্সেন্ট এবং সাবেক ম্যানেজার প্রকাশ জাজুকে উদ্দেশ্য করে আইনী নোটিশ পাঠিয়েছেন। কেননা তার সাবেক প্রেমিক আসাম মার্সেন্ট প্রকাশ জাজুর জীবনী নিয়ে মুভি তৈরি করেছে। গতকাল প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আইনজীবী এই আইনী নোটিশ প্রেরণ করেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মনে করেন, এই চলচ্চিত্রটিতে তার ব্যক্তিগত এবং পেশাগতজীবনের অনেক বিষয় আবর্তিত হয়েছে। যা তার ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশাগত জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। নোটিশে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার আইনজীবী আনন্দ দেশাই বলেন, আমার ক্লায়েন্ট গভীরভাবে মর্মাহত এই কারণে যে, তার সাবেক ম্যানেজারের জীবনী নিয়ে আপনি (আসাম মার্সেন্ট) চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন যেখানে আমার ক্লায়েন্টের বিভিন্ন পারিবারিক বিষয়াবলী আবর্তিত হবে আর সেগুলোর ক্ষেত্রে আমার ক্লায়েন্টের কোন অনুমোদন নেওয়া হয়নি। যা আমার ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত অধিকারের সাথে সাংঘর্ষিক। তাই আমার ক্লায়েন্ট দাবি করছে এই নোটিশ পাওয়া মাত্র আপনার চলচ্চিত্রের সকল প্রচার প্রচারণার উপকরণগুলো সরিয়ে ফেলা হোক এবং এই চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত ক্লায়েন্টের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী দূরীকরণ করা হোক। এছাড়া আমার ক্লায়েন্টের বিনা অনুমতিতে এই সকল বিষয় চলচ্চিত্রে ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে তার নিকট যেন ক্ষমা চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য যে, আসাম মার্সেন্টের সাথে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সম্পর্ক ছিল যখন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ২০০০ সালে মিস ওয়ার্ল্ড নির্বাচিত হন। এই আসাম মার্সেন্ট বর্তমানে লাইমলাইট নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন। প্রিয়াঙ্কা তার সাবেক ম্যানেজার প্রকাশ জাজুর সাথে একসময় খুব খারাপ আচরণ করেন। সেই খারাপ আচরণের কারণ ছিল প্রিয়াঙ্কা তার বকেয়া থাকা বেতন পরিশোধ করছেন না। এই অভিযোগের কারণে প্রিয়াঙ্কা তাকে মানহানি মামলায় ৬৭ দিন জেলে বন্দী করে রাখেন। তারপর জাজু প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত জীবনেও বিরক্তিকর সমস্যা সৃষ্টি শুরু করলে প্রিয়াঙ্কার বাবা প্রকাশ জাজুর বিরুদ্ধে আদালতে এফআইআর করেন। এই এফআইআরের কারণে জাজু গ্রেফতার হন। জাজু বলেন তিনি এই চলচ্চিত্রের ফাইনাল স্ক্রিপ্টটি পড়ার পর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্য এখনো জানা যায়নি।
তথ্যসূত্রঃটাইমসঅবইন্ডিয়া