দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ ৩ জুন নিমতলী ট্র্যাজেডির চতুর্থ বর্ষপূর্তি। ২০১০ সালের আজকের এই দিনে নিমতলীর ৪৩/১, নবাব কাটরা ৫ তলা বাড়িতে স্মরণকালের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১২৩ জনকে প্রাণ দিতে হয়।
ফাইল ফটো
সেদিনের ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আপনজন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যান বেশ কয়েকটি পরিবার। জীবনের তাগিদে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠলেও নিমতলীর সেইসব পরিবার এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন সেই দুঃস্বপ্ন। যা তাদের জীবনে সেদিন ঘটে গিয়েছিল। সেদিনের আগুন তাদের স্বজনদের যেমন পুড়িয়ে ভস্ম করেছিল তেমনি তাদের জীবনের অনেক স্বপ্নই ধুলিসাৎ হয়েছে। আজও তারা ঘুমের মধ্যেও চিৎকার করে ওঠেন সেদিনের সেই বিভৎস্য দৃশ্যের কথা মনে হলে।
ফাইল ফটো
৪৩/১, নবাব কাটরা, নিমতলীর সেই ৫তলা বাড়িটিতে আগুনে পোড়া কোনও দৃশ্য এখন নেই। নীচতলা থেকে ৫ম তলা পর্যন্ত পুরো বাড়িটির অনেক কিছুই এ চার বছরে পাল্টে গেছে। কিন্তু ওই বাড়িতে এখন যারা বসবাস করেন তাদের মধ্যেও রয়েছে নানা আশংকা। কিন্তু জীবনের তাগিদে মানুষকে সবকিছুই মেনে নিতে হয়। ওই বাড়িতে বসবাসকারীরাও তাই করছেন। বিভৎস আগুনের লেলিহান এখন নেই ওই বাড়িতে, আছে শুধুই স্মৃতি। যে স্মৃতির কথা মনে হলে এখনও গায়ের লোম খাড়া হয়ে ওঠে।
ফাইল ফটো
নিমতলী ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। প্রতিবছরের মতো এবারও নিমতলী ট্র্যাজেডি দিবসে ফুল দিয়ে নিহতদের স্মরণে গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। নিমতলী ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণে অত্র এলাকায় শোকসভা এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাড়ির নীচে ক্যামিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে ২০১০ সালের আজকের এই দিনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। গোডাউনে রক্ষিত অতিদাহ্য রাসায়নিক পদার্থ থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। আগুন নেভানো ও উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস কিন্ত তার আগেই মৃত্যু ঘটে ১২৩টি তাজা প্রাণের। জাতির কাছে তাই আজকের এই দিনটি একটি শোকের দিন।