অ্যাপল তাদের সব পণ্যের জন্য নিয়ে এসেছে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা

দি ঢাকা টাইমস্‌ ডেস্ক ॥ অ্যাপল তাদের প্রযুক্তি পণ্যগুলোকে আরো বেশি পরিবেশবান্ধব করতে কাজ শুরু করেছে। এখন থেকে অ্যাপল তাদের পুরনো প্রযুক্তি পণ্যগুলোকে ব্যবহারকারীর কাছ থেকে সরাসরি কিনে নিবে। এছাড়া অ্যাপলের সকল ডেটা সেন্টার ও স্টোরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করা হবে।


আরো সবুজ হয়ে উঠার উদ্যোগ হিসেবে অ্যাপল তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পরিবেশ নামে আলাদা একটি বিভাগ খুলেছে। এখানে অ্যাপল পরিবেশবান্ধব আর কি কি করছে, কিভাবে তাদের প্রযুক্তি পণ্যগুলো পরিবেশবান্ধব করা হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেছে। অ্যাপলের যে সকল পুরনো সংস্করণের প্রযুক্তিপণ্য বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে রয়েছে তা যদি পুনরায় ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে তবে এর ব্যবহারকারী চাইলে অ্যাপল স্টোরে তা জমা দিতে পারেন। অ্যাপলের প্রযুক্তি পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে আইফোন, আইপ্যাড, ম্যাক কম্পিউটার, আইম্যাক ল্যাপটপ ইত্যাদি। বিনিময়ে এর ব্যবহারকারী পাবেন একটি গিফট কার্ড। এই গিফট কার্ডটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারী অ্যাপলের বিভিন্ন স্টোর থেকে অ্যাপল পণ্য কিনতে পারবেন। অ্যাপল বলছে, সারাবিশ্বের প্রায় ৪২০টি অ্যাপল স্টোরে ইতোমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে এই সকল গিফট কার্ড।

অ্যাপল তাদের এই উদ্যোগ সম্পর্কে বলেছে, অনেক প্রযুক্তি পণ্যেই ব্যবহার করা হয় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান। অ্যাপল মনে করে, এই সকল প্রযুক্তি পণ্যগুলোকে যদি রিসাইকেল করা যায় তবে তা পরিবেশের উপর তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না। গত সাত বছরে অ্যাপল বিক্রি করেছে অন্ততপক্ষে ১০০ কোটির উপর প্রযুক্তি পণ্য। ২০১২ সালের পরিবেশের উপর করা একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে, কার্বন নিঃসরণের ক্ষেত্রে একটি বড় অংশই আসে শুধুমাত্র প্রযুক্তি পণ্য আর সেবা থেকে। গ্রীনপিসের জরিপে বলা হয়, বিশ্বের সবগুলো এয়ালাইন্স মিলে যে পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করে প্রযুক্তিপণ্য কোম্পানীগুলো তার চেয়ে দ্বিগুণ কার্বন নিঃসরণ করে থাকে। এছাড়া প্রযুক্তি সেবা যেমন গুগল, ফেসবুক এর মতো কোম্পানীগুলোর প্রয়োজন হয় বিপুল পরিমাণ সার্ভার এবং ডেটাবেইজ। এগুলো চালাতে লাগে অনেক বিদ্যুৎ। গ্রীনপিসের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপান ছাড়া সারাবিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মোট যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হয়। এই সার্ভারগুলো চালাতে তার চেয়েও বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়ে থাকে।

অ্যাপল বলছে, তারা তাদের সকল উদ্ভাবনা-প্রযুক্তি জ্ঞানকে ব্যবহার করে এই পৃথিবীর পরিবেশকে যতটা নিরাপদ করা যায় তার জন্য কাজ করবে। অ্যাপল ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ডেটা সেন্টারের এবং অ্যাপল স্টোরের বিদ্যুৎ জ্বালানী হিসেবে চালু করেছে নবায়নযোগ্য জ্বালানী।

Related Post

This post was last modified on জানুয়ারী ৩০, ২০২৪ 11:49 পূর্বাহ্ন

K. A. B Tohin

Recent Posts

জোভান-তিশার নতুন নাটক ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্মের তারকা ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিন তিশা জুটি…

% দিন আগে

তুরস্কে এক হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা চিকিৎসা গ্রহণ করছে: এরদোয়ান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন যে, ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী…

% দিন আগে

এই ছবিতে লুকিয়ে আছে খরগোশ: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি একটি জঙ্গলের রাস্তার। সেই রাস্তায়…

% দিন আগে

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে

আপনার স্মার্টফোন আগুনের মতো গরম হচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গ্রীষ্মে শুধুমাত্র শরীরই নয়, গরম হচ্ছে আমাদের স্মার্টফোনটিও। ফোন…

% দিন আগে