দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাচীনকালের ইতিহাস এবং মানুষের পরিচিতি জানার জন্য আমাদের কৌতূহলের শেষ নেই। বই-পত্রে যা আছে তার বাইরেও জানার অনেক কিছু বাকি রয়ে গেছে। তাইতো প্রত্নতত্ত্ববিদেরা খুঁজে যাচ্ছেন। যাদের ভূগর্ভস্থ রহস্যের প্রতি আগ্রহ আছে তাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- চেক প্রজাতন্ত্রের হলি ক্রস চার্চের ভূগর্ভস্থ এক গোপন আশ্রমে দুই ডজন মমি পাওয়া গেছে।
শতশত বছর যাবত চার্চ এদের সংরক্ষণ করে আসছে। এই মমিগুলো সবাই সন্ন্যাসী ছিল। লম্বা গাউন পরিহিত মমিগুলোর হাতে ছিল প্রাচীন জপমালা। হলি ক্রস চার্চের সন্ন্যাসী ক্রিপ্টে এদের রাখা ছিল। সম্প্রতি এটি আবিষ্কারের পর জনসাধারণের দেখার জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
মমিগুলো রাখা ছিল ভূগর্ভস্থ এক কক্ষে যেখানে মাটির গঠন অনন্য এবং বায়ু চলাচলের জন্য পথ রয়েছে। মমি তৈরির উপযুক্ত করেই চেম্বারটি বানানো হয়েছে। চার্চের অফিসিয়াল তথ্য মতে, এই কক্ষে ২০০টি মমি থাকার কথা। কিন্তু পাওয়া গেছে মাত্র ২৪টি। সন্ন্যাসীদের মমি সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক শতক আগে আর শেষ হয়েছে আঠার শতকের শেষ দিকে।
চেক প্রজাতন্ত্রে গেলে দর্শনার্থীরা চেম্বারটি দেখতে যায়। অবশ্য গীর্জাটি ১৭৬৫ সালের বারোক ভাস্কর্য দিয়ে সজ্জিত। দেখার জন্য আকর্ষণীয়। কিন্তু এই চেম্বারটি গীর্জার আকর্ষণ অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে শিশুদের এবং দুর্বল চেতা মানুষদের এখানে যাওয়া উচিত হবে না। কেননা মাটির নিচে বদ্ধ কক্ষে সারি সারি লাশ দেখতে অনেকেরই ভাল লাগবে না।
চার্চ সন্ন্যাসীদের লাশ সংরক্ষণ করতো এমন তথ্য জানা থাকলেও এমন ২০০ জনের মমি থাকার ঘটনা নজিরবিহীন। তাই এই আবিষ্কার প্রাচীন চার্চের কার্যকলাপ বুঝতে সহায়ক হবে।
সূত্রঃ Dailymail