দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মিশর মানে পিরামিড, মিশর মানে মমি। অতি প্রাচীন কালের ইতিহাস জানাতেই যেন এগুলো হাজির হয়। সম্প্রতি মিশরের লাক্সর শহরে ৩৬০০ বছর পুরনো পাখির পালকে আবৃত মমির শবাধার(কফিন) পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি উচ্চ পদস্থ কোন কর্মকর্তার শবাধার।
স্প্যানিশ প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মিশরীয় পুরাকীর্তি মিশনে এটি খুঁজে পায়। এটি খ্রিষ্টপূর্ব ১৬০০ সালের যখন ফ্যারাওদের ১৭তম বংশের রাজত্ব চলছিল।
ভাস্কর্যশিল্প অলংকৃত শিলালিপি সমন্বিত প্রস্তর শবাধারটি কাঠের তৈরি। এটি খুব সুন্দর ভাবে সাজানো। শবাধারটির ঢাকনা এবং পাশে পাখির পালক লাগানো আর দুর্বোধ্য লিপি খোদাই করা রয়েছে। এটি ৭ ফুট ১১ ইঞ্চি লম্বা। বিশেষজ্ঞদের মতে এটি খুব ভাল অবস্থায় আছে।
রানী সেনমুতের গুপ্তধন ধারক জিওতির কবর খোঁড়ার সময় আবুল-নাগা কবরস্থান থেকে এটি পাওয়া গেছে। ঐ জায়গা থেকে আরো দুটি খালি শবাধার পাওয়া গেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদেরা ধারণা করছে, অনেক আগেই এগুলো চুরি হয়ে গেছে।
এই কবরস্থানের খনন কাজ শুরু হয় ১৩ বছর আগে। ঐ সময়ে নতুন এক রাজ্যের অনেক শিল্পকর্ম আবিষ্কার করা হয়। এছাড়া গত বছর ফ্যারাওদের ১৭তম রাজবংশের একটি শিশুর শবাধার পাওয়া গিয়েছিল।
মিশরের প্রাচীন ঐতিয্য আর ইতিহাস জানার জন্য মমিগুলো খুবই সহায়ক। এগুলো অনেকটা পাজলের মত। সবগুলো মমি পাওয়া গেলে হয়তো একটি পূর্নাঙ্গ ইতিহাস লেখা যাবে।
সূত্রঃ ডেইলি মেইল