দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বন্দি জীবন আর মু্ক্ত জীবন মানুষের জীবনে এক অন্য অভিজ্ঞতা। এমনই এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশের ৭ নাবিক সাড়ে ৩ বছর পর সোমালিয়ারর জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এ যেনো তাদের নতুন এক জীবন ফিরে পাওয়া।
বাংলাদেশী ৭ নাবিক সাড়ে ৩ বছর পর মুক্তি- গতকাল বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর এটিই ছিল বিশেষ খবর। কারণ দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর যাদের কোনোই খোঁজ ছিল না। হঠাৎ করে তাদের ফিরে পাবার সংবাদ শুধু ওই পরিবার নয়, পুরো দেশবাসী যেনো উৎফুল্ল হয়েছে। ওই পরিবারের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও দেশবাসী খুব খুশি যে ৭টি পরিবার তাদের আপনজনকে আবার ফিরে পাবেন। আর তাই সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর ছাড়াও টকশোগুলোতে আলোচনার মূল বিষয় ছিলো এটি। দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর পর সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন বাংলাদেশের ওই ৭ নাবিক। তাদের জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধবিষয়ক দপ্তরের একটি বিশেষ বিমানে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই একটি হোটেলে তারা অবস্থান করছেন। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। পরে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া ৭ বাংলাদেশী নাবিক সম্পুর্ণ সুস্থ আছেন। কেনিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মুক্তি পাওয়ার পর নাইরোবির আগা খান হাসপাতালে ওই ৭ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের স্থানীয় একটি হোটেলে রাখা হয়েছে।
উল্রেখ্য, ২০১০ সালের নভেম্বরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা মালয়েশিয়ার মালিকানাধীন এমভি আলবেদো নামক একটি জাহাজ থেকে তাদের অপহরণ করেছিল বাংলাদেশের এই ৭ নাবিককে। বিষয়টি নিয়ে সে সময় মিডিয়াগুলোতে খবর প্রচার করা হলেও তা পরে থেমে যায়। সবাই ধরেই নিযেছিলো যে তাদের হয়তো মেরে ফেলা হয়েছে। তখনকার বিষয়টি তখনই থেমে যায়। যেহেতু এসব নাবিকরা গ্রামের সহজ-সরল পরিবার থেকে এসেছে তাই বিষয়গুলো নিয়ে আর কোনো প্রচার-প্রপাগাণ্ডাও হয়নি। শহরের সচেতন সমাজের হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে হৈ চৈ ফেললে বিষয়টি উপর মহলে উঠে আসতো। কিন্তু নীরব থেকে গেছে ৭ নাবিকের অপহরণ বিষয়টি। এমন অবস্থায় গতকাল ৭ নাবিক উদ্ধারের বিষয়টি দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনায় পরিণত হয়েছে।