দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় আন্দ্রে লিওনেল মেসিকে চিনে না এমন মানুষ আমাদের দেশে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আর্জেন্টিনা ভক্ত হোক আর বার্সেলোনা ভক্ত হোক মেসির খেলা তার ভক্তরা কখনোই মিস করতে চায় না। আজ আমরা সেই সকল ভক্তের জন্য তুলে ধরবো মেসির কিছু অজানা তথ্য।
১. আন্দ্রে লিওনেল মেসির জন্ম ইতালিতে। তার বাবা কাজ করতেন একটি কারখানায় আর মা ছিলেন ক্লিনার। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
২. মেসি শৈশবে অনেক লাজুক ছিলেন। তাকে প্রথম দেখায় যে কেঊ বোবা কিংবা অটিস্টিক ভাবতো। তার শিক্ষকরা তাকে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দিয়েছিল।
৩. মাত্র ১১ বছর বয়সে মেসির দেখা দেয় গ্রোথ হরমোন সমস্যা। এই সমস্যার চিকিৎসা ব্যয় ছিল প্রতিমাসে ৯০০ ডলার যা তার পরিবারের বহন করার সামর্থ্য ছিল না।
৪. বার্সেলোনার সাথে মেসির প্রথম চুক্তি হয়েছিল একটি টিস্যুপেপারে। বার্সার তৎকালীন পরিচালক কার্লোস রেক্সাচ মেসির প্রতিভা দেখে এতোটাই বিমোহিত হন যে তিনি তখনি মেসির সাথে চুক্তি করতে চান কিন্তু হাতের কাছে কোন কাগজ না থাকায় টিস্যু পেপারে তা লিখে নেন।
৫. বার্সেলোনার সাথে মেসির চুক্তি হওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বার্সা মেসির শারীরিক গ্রোথ হরমোনের চিকিৎসার পুরো ব্যয়ভার গ্রহণ করতে রাজি হয়। এই সময় মেসির পরিবার আর্জেন্টিনা থেকে স্পেন চলে আসে।
৬. মেসিকে স্পেনের জাতীয় দলে খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয় কিন্তু মেসি তা ফিরিয়ে দেয়। মেসির ইচ্ছে ছিল সে তার দেশ আর্জেন্টিনার হয়ে খেলবে। ২০০৪ সালে মেসি সে সুযোগ পায়।
৭. মেসির দুই দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। একটি আর্জেন্টিনা আর অপরটি স্পেন। ২০০৫ সালে মেসি স্পেনের নাগরিকত্ব পায়।
৮. মেসির বার্সেলোনা এবং আর্জেন্টিনা দুই জায়গাতেই জার্সি নাম্বার ১০। মেসির এই ফুটবল প্রতিভায় অনুপ্রেরণা হিসেবে যিনি ছিলেন তিনি হলেন মেসির দাদী।
৯. মেসির সবচেয়ে কাছের বন্ধুর নাম ডেকো এবং রোনালদিনহো। মজার বিষয়টি হলো তারা দুজনেই ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার। তারা দুজনেই বার্সেলোনায় খেলতেন। মেসি বার্সা দলে ঢোকার সময় ডেকোর জার্সি নাম্বার ছিল ২০ আর রোনালদিনহোর ছিল ১০। এই দুটি নাম্বার যোগ করলে হয় ৩০। তাই মেসি বেছে নিয়েছিলেন ৩০ নাম্বার জার্সি।
তথ্যসূত্রঃ প্রিয়.কম